পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “অপরাধের রাণী”, তাঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ, আরজি করে নারকীয় ঘটনায় সুর চড়ালেন প্রতিমা ভৌমিক

আগরতলা, ১৮ আগস্ট।। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “অপরাধের রাণী”। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ। কারণ, রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষায় তাঁর পদত্যাগ খুবই জরুরি। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের গণধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এইভাবেই করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তাঁর কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে তালিবানি শাসনের কায়দায় সরকার পরিচালনা করছেন।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গত ৮ আগস্ট আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। গভীর উদ্বেগের বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এটি নিয়মিত ঘটছে। একই ঘটনা ঘটেছে সিপিআইএম-এর শাসনামলে এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর অধীনেও একই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি ‘মা, মাটি, মানুষের কথা বলেন। অথচ মানুষ সেখানে নিরাপদ নয়। তাই ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ প্রতিমার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন প্রচেষ্টা তাঁর সংগঠিত ব্যবস্থারই অংশ। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকদের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন”, প্রতিমা ভৌমিক বলেছেন।

প্রতিমা এদিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার কাছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও আছে। আমরা এই ধরনের বর্বর ঘটনাকে সহ্য করতে পারি না। পশ্চিমবঙ্গে এটা নতুন নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর পর্যন্ত এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে কেবল প্রতিবাদ করছেন। তাঁর কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তৃণমূলের গুন্ডারা হাইজ্যাক করেছে। সেখানে গণতন্ত্র নেই। তৃণমূলের গুন্ডারা রাজ্য চালাচ্ছে। আরজি কর কান্ডে যখন ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল তখন তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। 

প্রতিমা এদিন তোপ দাগেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধের রাণী। কারণ, ওই নারকীয় ঘটনায় যখানে পুরো জাতি ক্ষুব্ধ সেখানে হাসপাতাল সুপারকে বরখাস্ত করার পরিবর্তে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে বদলি করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অথচ, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেছেন, তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার একটি তালেবান শাসনের কায়দায় পরিচালিত হচ্ছে। তাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ। কারণ তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবেন না।

এদিন বিজেপি নেত্রী সাথে যোগ করেন, গত ১২ আগস্ট পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের সময় সোনামুড়া মহকুমার বিজেপি কার্যকর্তা  আশিস পাল সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে নির্মম আক্রমণের শিকার হন এবং তারপর থেকে তিনি জীবনের জন্য লড়াই করছিলেন। কিন্তু গতকাল রাতে তিনি মারা গেছেন। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিমা ভৌমিক সংকল্প করেন, দোষীর চরম শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ থাকবেন না।