নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগস্ট ৷৷ ১৯৪৭ সালে দেশভাগ ভারতের মানুষকে সব দিক দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছিল৷ যা ছিল একটি কলস্কময় অধ্যায়৷ ভারতকে দুর্বল করাই ছিল সেই বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য৷ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্বের ইতিহাসের পাশাপাশি দেশভাগের পীড়াদায়ক ইতিহাসকেও স্মরণ করতে হবে৷ আগামী প্রজন্মের কাছে এই ইতিহাস তুলে ধরতে হবে৷ আজ আগরতলা মুক্তধারা অডিটরিয়ামে আয়োজিত দেশ বিভাজনের বিভীষিকা স্মৃতি দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মন, পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য্য, প্রাক্তন বিধায়ক মিমি মজুমদার, প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশ্বজিত গুপ্ত, সমাজসেবী বিপিন দেববর্মা, অসীম ভট্টাচার্য্য প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ বিভাজনের ফলে লক্ষ ডলক্ষ মানুষ তাদের স্বজনদের হারিয়েছিলেন৷ তাদের নিজের বাসস্থান ছেড়ে দেশান্তরী হতে হয়েছিল৷ দেশের আগামী প্রজন্মকে আমীদের দেশের সেই ইতিহাসকে স্মরণে রাখতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে৷ যারা দেশ বিভাজনের ফলে বিভীষিকার শিকার হয়েছিলেন তাদের সম্মানার্থে এবং সেই ইতিহাস আগামী প্রজন্মের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই দিবস পালন করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ এবং সচেতন থাকতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এরকম কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয়৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আজ এক শক্তিশালী দেশের মর্যাদা বহন করছে৷ আমাদের দেশ আজ সমস্ত ক্ষেত্রে বিশ্বের সববারে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে৷ বর্তমান রাজ্য সরকারও শান্তি সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করে জনগণের কল্যাণে রাজ্যরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷
2024-08-15