শিলচর (অসম), ১১ আগস্ট (হি.স.) : বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের শরণার্থী হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের মতো সীমান্তে শিবির স্থাপন করে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে সামাজিক সংগঠন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি মেমোরিয়াল স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদ।পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক হারাণ দে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের কাছে এক ই-মেইল পাঠিয়ে এই দাবি জনিয়েছেন। হারাণ দে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর কেবল সংসদে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের জন্য সরকারের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করলেই হবে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেহেতু হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়, তাই ভারতের উচিত সে দেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করা।
হারাণবাবু সংবাদ মাধ্যমের সামনে এ সম্পর্কে আরও বলেন, যেহেতু দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করা হয়েছিল, তাই ভারতের সংবিধানে হিন্দুরা যখন ইচ্ছে ভারতে আসতে পারবেন এবং মুসলিমরা যখন ইচ্ছে পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) যেতে পারবেন, এমন সংস্থান থাকা উচিত ছিল।এ ব্যাপারে হারাণ দে জাতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রয়োগ না করে অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করার দাবি জানিয়ে বলেন, এতে হিন্দুরা যখন ইচ্ছে ভারতে আসতে এবং মুসলিমরা যখন ইচ্ছে বাংলাদেশ যেতে পারবেন এমন সংস্থান রাখতে হবে।
হারাণবাবুর আক্ষেপ, এমকে গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরুর অদূরদর্শিতায় দেশ ভাগ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ায় আজ বাংলাদেশে হিন্দুদের এই অবস্থায় পড়তে হয়েছে। দেশ ভাগ করার আগে বাংলাদেশের (পূর্ববর্তী পূর্ব পাকিস্তান) ওই সকল অত্যাচারিত মানুষের পূর্বপুরুষদের কি কোনও মতামত নেওয়া হয়েছিল?এই প্রশ্ন তুলে হারাণ দে বলেন, তাই যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইবেন তাঁদেরকে এ দেশে সংস্থাপন দেওয়া হবে ভারত সরকারের কর্তব্য ও দায়িত্ব।
