নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ১১ আগস্ট: রবিবার বিকেলে বিলোনীয়া বনকর মুহুরী নদীর দশমীঘাটে বিপদনাশীনি মায়ের মূর্তী বিসর্জন দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে নদীতে পরে যায় সুজয় ভৌমিক নামে এক যুবক। বাড়ি বিলোনীয়া মির্জাপুর ডি এম ওফিস সংলগ্ন এলাকায়।নদীর জলের স্রোত বেশী থাকায় বার বার চেষ্টা করেও সুজয় ভৌমিক যখন উঠতে পারছিল না, তখন দুই ব্যক্তি সুজয়কে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে সুজয় ভৌমিক মুহুরী নদীর জলের স্রোতে ভেসে যেতে থাকে শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। সুজয় একবার জলের নীচে চলে যাচ্ছে আরেকবার ভেসে উঠছে। মুহূরী নদীর জলের এতই স্রোত যে নদীর উত্তর পারে হাজারো মানুষ দেখছে একটি লোক নদীর জলে ভেসে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে অথচ ভয়ে কেও নদীতে নেমে যুবকটিকে বাঁচানোর জন্য সাহস দেখাতে পারে নি।মুহুরী নদীর পাড়ে বনকর নন্দী পাড়া স্থিত বাসিন্দা সুশান্ত ভট্টাচার্যি নিজ বাড়ী থেকে হঠাৎ মানুষের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসতেই দেখে পায় নদীর জলে ভেসে যাচ্ছে সুজয়। সুশান্ত ভট্টাচার্য্য কোন কিছু না ভেবে বাড়ী থেকে একটি দড়ি এনে দড়ির একদিকে নিজের কোমড়ে বেঁধে সোজা মুহুরী নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন এবং বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ১০০ – ১৫০ মিটার সামনে থেকে যুবকটিকে রক্ষা করে পরিবারের হাতে তুলে দেন।সুশান্ত ভট্টাচার্য্যের অদম্য সাহসীকতায় প্রাণ বাঁচলো বছর ২৭ এর যুবক সুজয় ভৌমিক। সুশান্তের সহসীকতায় গর্বিত বিলোনীয়া। ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন সুজয় ভৌমিকের পরিবার। সুজয় ভৌমিকের পরিবার পরিজন সহ উপস্থিত জনতা সুশান্ত ভট্টাচার্যের অদম্য সাহসীকতায় যুবকের প্রাণ বাঁচানোর ঘটনায় গর্বিত ।মূর্তি বিসর্জন দিতে গিয়ে যুবক নদীর জলে ভেসে যাচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় বিলোনীয়া ফায়ার সার্ভিস সহ বিপর্যয় মোকাবেলা টিম। যদিও এন ডি আর এফ এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই সুজয় ভৌমিককে নদীর জল থেকে তুলে প্রাণে বাঁচালেন সুশান্ত ভট্টাচার্য্য। জানা গেছে সুজয় ভৌমিক এখন সুস্থ আছে।
2024-08-11