নিজস্ব প্রতিনিধি, মনু, ১১ আগস্ট: চিকিৎসার নাম করে লুটের বাণিজ্য চালাচ্ছেন এক চিকিৎসক। ঘটনা মনু ছৈলেংটা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। এমনই অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক প্রসন্ন দাস মনু ছৈলেংটা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় চিকিৎসার নাম করে রোগীদের কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এমনি এক অভিযোগ তুলেছেন কাঞ্চনপুর মহকুমাস্থিত দশদা কম্বল টিলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ দাস নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন উনার নিজ শরীরের সুগার কন্ট্রোল করতে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক প্রসন্ন দাসের শরণাপন্ন হয়ে সর্বমোট চিকিৎসকের ১৬,০০০ টাকা ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন।
চিকিৎসা শুরুর ১৫ দিনের মাথায় অসুস্থ বিকাশ দাস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করলে জোরপূর্বক সুগার কন্ট্রোল হয়েছে বলে ভিডিও বানাতে চান। তখন সুগার কন্ট্রোল হয়নি বলে বাধা দিলে অসুস্থ বিকাশ দাস কে আর কোনো চিকিৎসা করবে না বলে ফিরিয়ে দেয়। চিকিৎসক প্রসন্ন দাসের রুটিন মাফিক চিকিৎসা করতে গিয়ে বিকাশ দাসের ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকার মত খরচ হয় বলে জানান। তিনি এও জানিয়েছেন যে টাকা গেলেও অসুবিধা নেই কিন্তু রোগ যদি কমে যেত।
এদিকে চিকিৎসক প্রসন্ন দাসের সঙ্গে টেলিফোন করলে কোনরকম সদ উত্তর পায়নি রোগী বিকাশ দাস। দুই মাস কেটে গেলেও টেলিফোন করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে সাংবাদিকের শরণাপন্ন হন রোগী বিকাশ দাস আর রাজ্যের মানুষদেরকে সতর্ক করতে তিনি চিকিৎসক প্রসন্ন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।এদিকে দশদা বিশ্বাসপাড়া এলাকার ধনঞ্জয় নমঃ নামের আরো এক ব্যক্তি ওই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি ও ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন। চিকিৎসার ১৫ দিনের মাথায় ভিডিও তৈরি করে চিকিৎসকের নিজ ফেইসবুক পেইজ থেকে আপলোড করে বিজ্ঞাপন হিসাবে ছড়িয়ে দেন তিনি, আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ভিডিও দেখে রাজ্যের মানুষ ভিড় জমায় মনু ছৈলেংটা চিকিৎসক প্রসন্ন দাসের চেম্বারে। আর এই সুযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চিকিৎসক প্রসন্ন দাস।
