কুয়ো থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার

আগরতলা, ১০ আগস্ট: কুয়োর থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। মৃত মহিলার নাম সুমতি মারার বয়স (৫৯) বছর। স্বামী রাম প্রসাদ মারার। উনার তিন ছেলে বর্তমান। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার কমলপুর থানার কুচাই নালা পঞ্চায়েতের রাম প্রতি পাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ ফরেন্সিক টিম হাজির হয়ে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গ্রামের জনৈকা মহিলা জানান, মৃত সুমতি মারার কে পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করতো। গত ৮ আগস্ট ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন পরিবারের সদস্যরা মৃত মহিলা কে শারীরিক নির্যাতন করে উঠানে ফেলে রাখে। গ্রামবাসীদের ধারণা শুক্রবার রাতে মহিলাকে নির্যাতন করে মেরে কূয়াতে ফেলে দেওয়া হয়। এটা খুন বলে জানান। গতকাল রাতে (শুক্রবার রাত) মৃতার স্বামী রাম প্রসাদ মারার জানান, গতকাল রাতে তিনি গ্রামের এক বাড়িতে কীর্তন ছিল সেখানে গিয়ে ছিলেন। রাতে এসে বৌকে পায়নি। আজ (শনিবার) সকালে কূয়ার পাড় দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় কূয়ায় দেখি স্ত্রী জলে ভেসে আছে। এরপর পাড়ায় খবর দিয়ে জানাই। তিনি জানান, তার স্ত্রী প্যারালাইসিস রোগী পা অচল ছিল। এখন প্রশ্ন হল, প্যারালাইসিস রোগী ডান পা অচল সে কিভাবে রাতে ঘর থেকে বেশ দূরে কূয়ায় গেল। এদিকে, বিমল মেমোরিয়াল হাসপাতালের মর্গের ডোম শ্যামল ঘাসি অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের মর্গ জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে আছে। মর্গে আলোর ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া, কোথাও পচা, অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে আনতে এন  এইচ এম থেকে কোন পয়সা দেওয়া হয় না। ডোম শ্যামল ঘাসি জানায় রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের ডোম এরকম পরিত্যক্ত পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হলে এন এইচ এম ফান্ড থেকে টাকা দেওয়া হয়। আমরা কোন টাকা পয়সা পাই না কেন। এসডিএমও এবং এন এইচ এম দিতে চায় না। গ্রামের জনৈকা অভিযোগকারী মহিলা, মৃতার স্বামী রাম প্রসাদ মারার ও পুলিশ অফিসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *