কাঁটাতারের বাইরে বসবাসকারী ভারতীয়দের মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের উদ্যোগ রাজ্যের

করিমগঞ্জ (অসম), ৩ আগস্ট (হি.স.) : কাঁটাতারের বাইরে বসবাসকারী ভারতীয়দের মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগের ফলে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাচ্ছে করিমগঞ্জের ১৩৮টি পরিবার। আগামী সোমবার দিশপুরে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কার্যালয়ে তাঁরই পৌরোহিত্যে টাস্ক ফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় সীমান্ত সমস্যা সমাধান এবং পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ শনিবার সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে ছুটে গেছেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুলকুমার যাদব। বিএসএফ-এর আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সার্কল অফিসারকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রামে উঠোন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন কাঁটাতারের বাইরে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের সঙ্গে।

করিমগঞ্জ জেলার ৯৩ কিলোমিটার সীমান্তের কাঁটাতারের বাহিরে গোবিন্দপুর, লাতুকান্দি, জারাপাতা, উত্তর লাফাশাইল, লামাজুয়ার, মহিশাসন, কোয়রভাগ, দেওতলি এবং জবাইনপুর গ্রামের বর্তমানে প্রায় ১৩৮টি পরিবারের দুই হাজারের বেশি নাগরিক অপরিসীম কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এবার তাঁদের ভূমি বাবদ সাকুল্যে মূল্য সরকার তুলে দেবে। তাছাড়া কোনও সরকারি সাহায্য ছাড়া সীমান্ত ছেড়ে অন্যত্র স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের জমির পরিমাণ হিসাবে তাদের ন্যায্য পাওনা তুলে দেবে সরকার।

অন্যদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের মধ্যে বিদ্যমান অনেক গ্রামে আবার কাঁটাতারের বেড়া পিছিয়ে নিয়ে সিঙ্গল লাইন ফেন্সিং নির্মাণের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।

আজ উত্তর লাফাশাইল সহ বিভিন্ন কাঁটাতারের বাইরে অবস্থিত গ্রামগুলি পরিদর্শনের সময় জেলাশাসক মৃদুল যাদবের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ধ্রুবজ্যোতি পাঠক, সদর সার্কল অফিসার জয় ক্রিস্টিনা এংনামলাই, ১৬ নম্বর বিএন বিএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ডেন্ট কৃষণ কুমার, লক্ষ্মীবাজার বিওপি কোম্পানি কমান্ডার অনিল কুমার, ইন্সপেক্টর সুন্দর সিং সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

এদিন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলাশাসক মৃদুল যাদব জানান, ভারতীয় বেড়ার বাইরে অবস্থানকারী বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সীমান্তের বাংলাদেশের অংশ একেবারে ফাঁকা। তাই তাঁদেরকেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মূল ভূখণ্ডে চলে আসতে। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য জমির ব্যবস্থা করবে সরকার। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সব ধরনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এ নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, জানান জেলাশাসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *