গাড়ি ভর্তি ১৪ টি গরু সহ তিনজনকে আটক করলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ৩১ জুলাই:
অবৈধভাবে পাচারের সময় কুমারঘাট থানার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে গাড়ি ভর্তি গরু। সঙ্গে আটক করা হয়েছে গাড়ি চালক ও দুই পাচারকারীকে। ঘটনায় গো-রক্ষকদের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন।

ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে গো-চোরাচালান রুখে দিলো পুলিশ। পাচারের সময় কুমারঘাট থানার পুলিশ পাকড়াও করলো গাড়ি ভর্তি ১৪টি গরু। ঘটনা বুধবার কুমারঘাটের ৯১ মাইল এলাকায়। এদিন পুলিশি নাকাতে সন্দেহমূলকভাবে টিআর -০২- এল – ১৬৬৪ নম্বরের একটি মালবাহী গাড়ি আটক করে পুলিশ। গাড়ীর পেছনে নজর পড়তেই রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়পুলিশের। ছোট্ট ঐ গাড়িতে অমানবিকভাবে বোঝাই করা ছিলো একসাথে ১৪ টি গরু।

পরে গরু সহ গাড়ীর নথিপত্র দেখতে চাইলে গাড়ীতে থাকা চালক সহ অন্যরা কেউই এর কোন বৈধ নথি পুলিশকে দেখাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন কুমারঘাট থানার ওসি শঙ্কর সাহা।

তিনি জানান পাচারকারীদের তথ্য অনুযায়ী উত্তর জেলার রামনগর থেকে ফটিকরায়ের জনৈক গরু ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো গরুগুলি। এই ঘটনায় সুনিদৃষ্ট ধারায় একটি মামলা হাতে নিয়ে গাড়ী চালক রঞ্জন মিঞা সহ সাবিন উদ্দীন ও নজিব আলী নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সেইসাথে বাজেয়াপ্ত গরুগুলিকে গোশালাতে পাঠায় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গরুগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য যেমন কোন বৈধ কাগজ ছিলোনা পাচারকারীদের কাছে তেমনি চূড়ান্ত অমানবিকভাবে গাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো গরুগুলিকে। ছোট্ট গাড়ীতে সঠিকমতো যেমন দাঁড়াতে পারছিলোনা সেই অবলা প্রানীগুলো তেমনি তাদের জন্য নিয়ম অনুযায়ী গাড়ীতে ছিলোনা কোন খাবার এবং জলের ব্যাবস্থাও। এই

ঘটনায় তদন্তে নেমেছে কুমারঘাট থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত এভাবে গাড়ি বোঝাই করেই বৈধ কিংবা অবৈধ পন্থায় অমানবিকভাবে অহরহ চলছে গো-চালানের ঘটনা। ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ঠিক এভাবেই অমানবিকভাবে গো-চোরাচালান রুখতে ত্রিপুরার তৎকালীন মিসকল বাবা সহ একদল গো-দরদীদের রাস্তায় নেমে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছিলো এসবের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর তাদের সেই তৎপরতা আর চোখে পড়েনা রাজ্যের মানুষের। আর সেই সুযোগে আবারো অবহেলার শিকার হচ্ছে হিন্দু ধর্মে কথিক গো-মাতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *