আগরতলা, ২৯ জুলাই: আবারো এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা উঠে আসলো সোনামুড়া মহকুমার শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। নিজের স্বামী ও সন্তান থাকার পরেও স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।পরবর্তী সময়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন স্বামী।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গত আট বছর আগে মুসেদা বেগমকে সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করেন সোনামুড়া থানা দিন শোভা পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোতালেব মিয়া নামে এক যুবক। বিয়ের পাঁচ বছর পর্যন্ত দুজনের সংসার খুব সুন্দর ভাবে চলছিল। এদের মধ্যে তাদের একটি সন্তান মারা গিয়েছিল। কিন্তু গত তিন বছরে মোতালেব মিয়ার স্ত্রী মুসেদা বেগম একই এলাকার তথা পাশাপাশি বাড়ি শারমুল হক নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমত স্বামী মোতালেব মিয়ার বিশ্বাস না হলেও পরবর্তীকালে তার চাল ছলনা দেখে, স্বামী মোতালেব মিয়া তার স্ত্রীকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক গরোয়া সভা হয়।কিন্তু স্বামী মোতালেব মিয়া যিনি একজন গাড়ির ড্রাইভার বহি:রাজে তাকে গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। আর এই সুযোগে তার স্ত্রী মুসেদা বেগম তার অবৈধ প্রেমিক সারমুল হকের সঙ্গে আবারো পরকীয়া লিপ্ত হয়ে থাকেন। গত ১৫ জুলাই মোতাবেলের পরিবারের সদস্যরা তাদের দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সেখান থেকে জোরজবস্তি করে অবৈধ প্রেমিক শারমুল হক মোতালেবেট মাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত মোতালেব মিয়া তার স্ত্রী মুসেদা বেগম, তার অবৈধ প্রেমিক সারমুল হক, সাইফুল বসার, শাহাদা বেগম, আব্দুল সোবহান, ফিরোজা খাতুন এদের বিরুদ্ধে সোনামুড়া থানা মামলা করেন।

