BRAKING NEWS

কোটা আন্দোলন : ভয়াবহ সহিংসতার শিকার বাংলাদেশ

মনির হোসেন, ঢাকা, ২৬ জুলাই: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। নাশকতার ক্ষতচিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। বিশেষ করে এই হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

টানা কয়েক দিন ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে ২০১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ সময় সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠাও স্থাপনায় ভাঙচুরসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর-কার্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকারও বেশী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত শুক্রবার রাতে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে কারফিউ জারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করে সরকার।

বর্তমানে জনমনে স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি কাটেনি আতঙ্ক। এক প্রকার ভুতুড়ে পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে বাংলাদেশ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। তবে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আরো সময় লাগলেও দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং কারফিউ তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতাকারীদের সর্বশক্তি দিয়ে চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার পরদিন থেকে সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ১৮ থেকে ২০ জুলাই এই তিন দিনে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়।  এসময় ঢাকায় ৬৯টি পুলিশ বক্স, ২টি ডিসি ট্রাফিক অফিস, ৪টি এসি ট্রাফিক অফিস, ৩টি থানা ও ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। চুরি হয়েছে ৪টি শর্টগান ও ১টি পিস্তল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *