নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২১ জুলাই: বনকর্মী কিঙ্কর দেবনাথের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি তুললো তেলিয়ামুড়ার জনগণ।
কিভাবে কিংকর’কে খুন করা হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে তার ডেমো করে দেখায় কিংকরের হত্যাকারী স্ত্রী সহ স্ত্রীর অবৈধ প্রেমিক সেই প্রোমোটার। তেলিয়ামুড়া’তে সাড়া তৈরিকারী বনকর্মী কিংকর দেবনাথের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কিংকর দেবনাথের স্ত্রী পূর্ণিমা দেবনাথ এবং তার অবৈধ প্রেমিক প্রোমোটার অমিত ঘোষ’কে গতকালই তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে।
পুলিশী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে এসেছিল সেই তথ্য বারবার দাবি করছে পরিকল্পিতভাবে কিংকরের স্ত্রী পূর্ণিমা। এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে এবং মৃতদেহকে অন্যত্র ফেলে দিয়ে ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রোমোটার অমিত নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুস্পষ্টভাবে তদন্ত করছে এবং গতকাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছিলেন এই ঘটনার পেছনে আর কি কি তথ্য রয়েছে বা আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাতে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অবশেষে আজ অর্থাৎ রবিবার পুলিশি নিয়ম অনুযায়ী দুই অভিযুক্তকে সাথে নিয়ে যেখানে কিংকর দেবনাথ এর মৃতদেহকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গা থেকে শুরু করে কিংকর দেবনাথের ভাড়া বাড়ি অর্থাৎ যেখানে হত্যাকাণ্ড
সংঘটিত হয়েছে সেখানে গিয়ে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করেছে।
এদিন অভিযুক্ত পূর্ণিমা এবং তার নাগর অমিত সরজমিনে দেখিয়েছে কিভাবে ঘটনাটি সংগঠিত করা হয়েছে। জানা গেছে প্রথমে পূর্ণিমা তার স্বামী কিংকরকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রায় অবচেতন করার পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। এর পরবর্তী সময়ে পূর্ণিমার ফোনে অমিত সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং দুজনে মিলে মোটরবাইকে বসিয়ে দেহ নিয়ে গিয়ে নিকটবর্তী পুলিনপুরের জাতীয় সড়কে ফেলে দিয়ে গোটা ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রয়াস করে। এদিকে আজ যখন পূর্ণিমা এবং অমিতকে ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গেছিল সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় তখন অগণিত মানুষ সম্মিলিতভাবে উপস্থিত থেকে গোটা ঘটনার নিন্দা জানায় এবং অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে শরব হয়।