ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। আন্তঃ মহকুমা প্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে ধর্মনগর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রানার্স খেতাব পেয়েছে আগরতলা প্রেস ক্লাব। আগরতলায় ক্ষুদিরাম বসু স্কুল মাঠে আজ, শনিবার সকাল থেকে বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগরতলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এবং স্পোর্টস কমিটির ব্যবস্থাপনায় এবারকার আন্তঃ মহকুমা প্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে সাতটি দল অংশ নিয়েছিল। সকাল দশটায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পর্ব এবং বেলা আড়াইটায় সমাপ্তি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সারা রাজ্যের সাংবাদিক খেলোয়াড়দের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। উভয় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক, প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, টিএফএ-র সচিব অমিত চৌধুরী, স্পন্সরর স্বপ্ননীড় রিয়েলেটর্স এর কর্ণধার অভিজিৎ সাহা, রাধাকৃষ্ণ জুয়েলারির কর্ণধার নারায়ণ দেবনাথ, ডিরেক্টর নন্দু দুলাল দেবনাথ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পৌরহিত্য করেন আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্পোর্টস কমিটির চেয়ারম্যান অলক ঘোষ এবং আগরতলা প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অভিষেক দে ও কমল চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ রঞ্জন রায় সহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই অতিথিদের উত্তরীয় ও শুভেচ্ছা স্মারক দিয়ে বরণ করে নেন স্পোর্টস কমিটির কনভেনার অভিষেক দে। এবারকার টুর্নামেন্টে যুগ্মভাবে ফেয়ার প্লে প্রাইজমানি পেয়েছে আগরতলা প্রেস ক্লাব বি টিম এবং খুমুলুং প্রেসক্লাব। ফাইনাল খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন গোলরক্ষক সুমন সাহা। প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন ধর্মনগর প্রেসক্লাবের স্ট্রাইকার রাহুল গোস্বামী। উল্লেখ্য, সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী আগরতলা প্রেসক্লাবের এ ধরনের উদ্যোগের ভূয়ষী প্রশংসা করেন এবং তার নিয়মিত জারি রাখার আহ্বান জানান। সরকারি স্তরে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং স্পোর্টস কমিটির চেয়ারম্যান অলক ঘোষও সংক্ষিপ্ত ভাষণে স্পন্সররদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সহ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল, রেফারি এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান। টুর্নামেন্ট পরিচালনায় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর তথা সিনিয়র সাংবাদিক সুপ্রভাত দেবনাথ এবং রেফারি আদিত্য দেববর্মা, পল্লব চক্রবর্তী, সুকান্ত দত্ত ও বিশ্বজিৎ সাহার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।