কলকাতা, ১৮ জুলাই (হি.স.): কেটে গিয়েছে ১৭ বছর। এখনও মৃত্যুর শংসাপত্র পায়নি নন্দীগ্রামে মৃত ৩ জনের পরিবার। দ্রুত এদের মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা শরকারের বেঞ্চ। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিপিএম নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে জমি আন্দোলনকারীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। তখন থেকেই নিখোঁজ হন আদিত্য বেরা, সত্যেন গোলে এবং বলরাম সিংহ। এরা প্রত্যেকেই ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ওই ৩ জনের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপর বাম জমানার অবসান হয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও ওই নিখোঁজ তিনজনের পরিবার রাজ্য প্রশাসনের কাছে মৃত্যু শংসাপত্র চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে অনলাইনে আবেদন করবেন এই ৩ পরিবার। সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে পঞ্চায়েত। এরপরই দ্রুত তাদের ডেথ সার্টিফিকেট দিতে হবে।এই নির্দেশের পরই হাই কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। তিনি তখন তৃণমূলে ছিলেন। এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্য ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিলেন। কিন্তু যাঁরা ওই আন্দোলনে প্রকৃত অর্থে লড়াই করেন, তিনি তাঁদের অবহেলা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন তাঁদের মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়ার আর্জিকে নাকচ করে গিয়েছে।’
2024-07-18