হাফলং (অসম), ১৩ জুলাই (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার ষষ্ঠ তফশিলি সুরক্ষা সমিতির অনশন ধর্মঘট ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এদিকে শনিবার এপিএইচএলসির নেতা জনইংতি কাথার হাফলং উপস্থিত হয়ে এই অনশন ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। তাছাড়া ষষ্ঠ তফশিলি সুরক্ষা সমিতির অনশন ধর্মঘটকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে দলীয় নেতা কালিজয় সেংইয়ং ও কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র কেম্প্রাই এই অনশন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেনন।
এদিকে অনশন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অনশনস্থলে সাংবাদিকদের ড্যানিয়েল লাংথাসা বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে ষষ্ঠ তফশিলি সুরক্ষা সমিতি অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে। তাঁদের অনশন ধর্মঘট এক সপ্তাহ চলবে বলে আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অনশন ধর্মঘট ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরকার বা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা পরিলক্ষিত হয়নি।
এমতাবস্থায় সরকার যদি তাঁদের দাবি নিয়ে কোনও ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তা-হলে তাঁদের এই অনশন ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে স্পষ্ট করেছেন ড্যানিয়েল লাংথাসা।
লাংথাসা বলেন, অনশন ধর্মঘট চলাকালীন যদি কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা-হলে তার জন্য সরকার সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে। এদিকে আজ অনশনস্থলে চিকিৎসক উপস্থিত হয়ে অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ২৪৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজ্যের মধ্যে স্বশাসিত রাজ্য গঠন ও ডিমা হাসাও জেলা নিয়ে পৃথক লোকসভা আসন এবং ডিমা হাসাও একটি বিধানসভা আসন থেকে দুটি বিধানসভা আসন করার দাবি সহ সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলির প্রস্তাবিত ১২৫ নম্বর সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করার দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন ধর্মঘটে বসেছেন ষষ্ঠ তফশিলি সুরক্ষা সমিতির নেতা-সদস্যরা।