বালুরঘাট, ১২ জুলাই (হি. স.) : বালুরঘাটে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের একে গোপালন কলোনী এলাকায় পণের টাকা আনতে অস্বীকার করায় বধূকে খুনের অভিযোগ বালুরঘাট শহরে। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার মহিলার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় শুক্রবার বিকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শহরের । মৃতার পরিবারের লোকেরা এসেও বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভে সামিল হয় এলাকার লোকজনও।
সকলের একটাই অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই ওই মহিলার উপর অত্যাচার চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরাই ওই মহিলাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। খবর যায় পুলিশে। ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজার নেতৃত্বে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসে কমব্যাট ফোর্স। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বামী, শ্বশুর ও ননদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় যান স্থানীয় কাউন্সিলর বিপুল কান্তি ঘোষও।
মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা কুমারী দাস (২৩)। স্বামীর সুরেশ রঞ্জন দাস। শুক্রবার নিজের ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে সুরেশ-প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের ৯ মাসের এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো। তা মেটানোরও চেষ্টা হয়। কিন্তু, এলাকার লোকজন বলছেন, তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। কিছুদিন বন্ধ থাকলে ফের শুরু হয় ঝামেলা। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলছেন, “খুন না আত্মহত্যা তা জানতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”