ভারতরত্ন ক্লাব সম্পাদক হত্যাকান্ডে মূল অভিযুক্তকে রাজ্যে নিয়ে এলো পুলিশ

আগরতলা, ১১ জুলাই: অবশেষে ভারতরত্ন ক্লাব সম্পাদক হত্যাকান্ডে গৌহাটি থেকে মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মনকে আজ রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। আগরতলা বিমানবন্দরে আজ দুপুর নাগাদ রাজু বর্মনকে নিয়ে আসা হয়। আজকেই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক। উল্লেখ্য, গতকাল  ত্রিপুরা পুলিশের টিম তাকে বাকো থানার অন্তর্গত ছাতাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা রাতে দুষ্কৃতিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছওল ভারতরত্ন সংঘের সাধারণ সম্পাদককে। রাজধানীর বনেদি ক্লাব উষা বাজার ভারতরত্ন সংঘের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল বামুটিয়া বিধানসভার অন্তর্গত শালবাগান এলাকায়। তার মাথায় একটি গুলি লেগেছিল। তড়িঘড়ি তাকে আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে। এদিকে ভিকির পরিবারের অভিযোগ ছিল ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে।

মৃতের স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, এদিন সন্ধ্যায় তিনি তাদের সন্তানকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরে সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ তিনি তার স্বামীকে ফোন করলে তিনি জানিয়েছেন, বিমান দাস নামে এক ব্যক্তি গাড়ি পাঠিয়েছেন, তার বাড়ির উদ্দেশ্যেই যাচ্ছেন তিনি। তারপর থেকে তার ফোন বন্ধ আসে। কিছু সময় পরে খবর আসে ভিকি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।তাঁর আরো অভিযোগ, রাজু বর্মন তার স্বামীকে হত্যা করেছে। রাজু বর্মন এবং বিমান দাসের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন মৃত ভিকির স্ত্রী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।

তারপর পুলিশি তদন্তে দুর্গা প্রসন্ন দেব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন, প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী, কলেজ পড়ুয়া সুস্মিতা সরকার(২২) এবং সানি সাহা। প্রদ্যুৎ উষাবাজার ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের পূর্বতন কমিটির সভাপতি ছিলেন। আজ হত্যাকান্ডপর মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।