নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১০ জুলাই: এই সময়ের মধ্যে গোটা রাজ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষি প্রধান কল্যাণপুর জুড়েও সবজি রীতিমতো অগ্নিমূল্য। যদিও এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, কল্যাণপুর সন্নিহিত প্রায় সমস্ত এলাকার মধ্যেই সবজি চাষ হচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন এই পরিস্থিতি কল্যাণপুরের মধ্যেও। তখন সহজেই অনুমান করা যায় গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি কিরকম অন্তত সবজির দামের পরিপ্রেক্ষিতে।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে এই সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি কাকরোল, পটল, ঝিঙ্গা, কাঁচামরিচ ইত্যাদি প্রচন্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ খুচরা ২০০ টাকা কেজির উপরে বিক্রি হচ্ছে, কাকরোল পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় আবার কোথাও কোথাও ১০০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে, চালকুমোড় ছোট থেকে মাঝারি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হলেও একটু বড় হলে ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে, লতসিম শতাধিক টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে, বেগুনের অবস্থাও একই রকম, মিষ্টি কুমোর প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও অন্যান্য যে সমস্ত সবজি রয়েছে সবগুলোতেই এরকম ভাবে দাম বৃদ্ধি প্রক্রিয়া চলছে, যার নিরিখে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণদের। যদিও বলে রাখা ভালো বাজার গুলোর মধ্যে সবজির যোগান কম ঘটনা কিন্তু তা না, সবজির জোগান রয়েছে স্বাভাবিক। বরং বলা যেতে পারে কাঁকরোল-পটল বিগত মাস খানেকের মধ্যে এখন পরিমাণগত দিক থেকে অনেকটাই শ্রী বৃদ্ধি করেছে। তারপরেও এভাবে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নাজেহাল জনজীবন, যার জের কোন না কোন ভাবে গোটা আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মধ্যেই পড়ছে।
অনেকে এক্ষেত্রে ফটকা বাণিজ্যের হাত দেখছেন । কোন না কোন ভাবে প্রশাসন নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে সবজির দাম নিয়ে কিছু করতে পারে কিনা এ বিষয়টাও কিন্তু ধীরে ধীরে আলোচিত হচ্ছে।