হাফলং (অসম), ৮ জুলাই (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে আজ সোমবার হাফলঙে মশার বংশবৃদ্ধি উৎস হ্রাস সপ্তাহ শুরু হয়েছে। হাফলং টাউন কমিটির ময়দানে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মশার বংশবৃদ্ধি হ্রাস করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন ডা. লীনা হাকমকসা।
ডিমা হাসাও অত্যন্ত ডেঙ্গুপ্রবণ জেলা। প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন প্রচুর মানুষ। চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পবনকুমার গাঞ্জু এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০২৩ সালে ডিমা হাসাও জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৫৩ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আজ (সোমবার) থেকে শহর এলাকায় মশার বংশবৃদ্ধির উৎস হ্রাস সপ্তাহ শুরু করা হয়েছে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে গ্রামাঞ্চলে এ ব্যাপারে সচেতনতা চালানো হবে।
এদিকে ডা. লীনা হাকমকসা বলেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে। সাধারণ ফুলের টাব, নারিকেলের খোসা, খোলা টায়ার ও নালায় জমা জলেই মশার বংশবৃদ্ধি হয়। তাই ঘরে ঘরে মশার বংশবৃদ্ধি বন্ধ করা খুব প্রয়োজন। তার জন্য বাড়িতে ফুলের টাব বা বাড়ির আশপাশে পড়ে থাকা নারিকেলের খোসা, টায়ার, ড্রেন ইত্যাদি পরিষ্কার রাখা জরুরি। এ ব্যাপারে আশাকর্মীরা শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে মানুষের মধ্যে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতে সচেতনতা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন ডা. লীনা হাকমকসা।
আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাফলং পুরপর্ষদের চেয়ারপার্সন রীপা হোজাই।