BRAKING NEWS

ডিমা হাসাও জেলার জেলা আয়ুক্তের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ এনডিআরএফের

হাফলং (অসম) ৪ জুলাই (হি. স.) অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওর জেলা আয়ুক্ত সীমান্ত কুমার দাসের বিরুদ্ধে অভ্যব আচরণ করার অভিযোগ এনডিআরএফের। গত ১ জুলাই এই মর্মে এনডিআরএফের ১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমাণ্ডেন্ট এইচ পি সি কাণ্ডারি এক লিখিত অভিযোগ রাজ্য সরকারের রাজস্ব ও দূর্যোগ প্রশমন বিভাগের প্রধান সচিব জ্ঞানেন্দ্র দেব ত্রিপ্রঠীর কাছে দাখিল করেন।

অভিযোগ পত্রে কমাণ্ডেন্ট উল্লেখ করেন ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসনের অনুরোধ মর্মে গত ৩০ জুন ডিমা হাসাও জেলায় ২৫ জনের একটি এনডিআরএফ বাহিনীর দল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ২৫ জনের এনডিআরএফ বাহিনীর দল ডিমা হাসাও জেলায় আসার পর তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে এনডিআরএফ বাহিনীর অনুরোধে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় হাফলং স্থিত ৩২ আসাম রাইফেল ক্যাম্পের একটি ছোট কক্ষে যেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা কিছুই ছিল না। এরই মধ্যে ৬ জুন এনডিআরএফ বাহিনীকে আসাম রাইফেল ক্যাম্প থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় জাটিঙ্গাতে যেখানে গত বছর উদ্ধার অভিযানের জন্য শিবির করেছিল এনডিআরএফ বাহিনী কিন্তু সেখানে তাদের যে দুটি ঘর দেওয়া হয়েছিল সেখানে আগে থেকেই ছিল অসম পুলিশের জওয়ানরা। তারপর এনডিআরএফের ইন্সপেক্টর গৌতম দাস তাদের থাকার ব্যবস্থার অনুরোধ করার পর জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে এডিএম সূর্য শর্মা ও ডিপিও আর ফুকন সেখানে গিয়ে এনডিআরএফ বাহিনীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারে নি।

অবশেষে ৬ জুন এনডিআরএফের ডেপুটি কমাণ্ডেন্ট নিপেন্দ্র কুমার তেওয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ডিমা হাসাও জেলা কমিশনার সীমান্ত কুমার দাসকে ফোন করে ২৫ জনের এনডিআরএফ বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানালে জেলা কমিশনার ডেপুটি কমাণ্ডেন্টের সঙ্গে অভ্যব আচরণ করে অসংবিধানিক বাক্য প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ প্রত্রে উল্লেখ করেন কমাণ্ডেন্ট এইচ পি এস কান্ডারি। তিনি পত্রে উল্লেখ করেন একজন প্রশাসনিক আধিকারিকের এধরণের আচরণ দূর্ভাগ্য জনক এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আচরণ এনডিআরএফ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বিনষ্ট হবে। তাই আগামীতে যাতে এধরণের আচরণ কোনও প্রশাসনিক অধিকার না করে তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য জ্ঞানেন্দ্র দেব ত্রিপাঠীকে লেখা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন। এবার ডিমা হাসাও জেলার জেলা কমিশনার সীমান্ত কুমার দাসের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহন করে তা হবে দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *