BRAKING NEWS

মেঘালয়ের ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস, বহিঃরাজ্যের সঙ্গে পুনরায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বরাক সহ ত্রিপুরা-মিজোরাম

শিলচর (অসম), ১৮ জুন (হি.স.) : লাগাতার ভারী বর্ষণের ফলে মেঘালয়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে একাধিক স্থানে ফের ভূমিস্খলন ঘটেছে। যার ফলে বহিঃরাজ্যের সঙ্গে সড়কপথে পুনরায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বরাক উপত্যকার তিন জেলা সহ পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরাম।

টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মেঘালয়ের পাহাড়ি রাস্তার নানা স্থানে ধস পড়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শিলচর-গুয়াহাটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বরাক উপত্যকা সহ ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরের জনগণ নাগাড়ে এক সপ্তাহব্যাপী সড়কপথে সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কবলে পড়ে দুর্ভোগ মোকাবিলা করেছেন।

গতকাল সোমবার কোনওভাবে ধস সারাই করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছিল। কিন্তু সারারাতের অবিরাম বর্ষণে গুয়াহাটি-শিলচর সংযোগী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মেঘালয়ের ধসপ্রবণ অঞ্চল লুমসুলুম, কুলিয়ান বস্তি, থানসেন এবং রাতাছড়া এলাকায় ফের ভয়ংকর ধস নেমেছে। ফলে পুনরায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েথে।

ফের সড়কের উভয়দিকে দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার ব্যাপী আটকে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি। কখন যে রাস্তা খুলবে হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কেননা, ধসপ্রবণ পাহাড়ি রাস্তার এক স্থানে সারাই করতে না-করতে অপর স্থানে ফের ধস পরে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস জেলার রাতাছড়া থেকে সোনাপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশো গাড়ি। গত ছয়দিন ধরে একই অবস্থা। উচু পাহাড় থেকে আচমকা রাস্তার ওপর বিশাল বিশাল পাথর-মাটি ধসে পড়ছে। গতকাল রাতেও পুনরায় লুমসুলুম অঞ্চলে উঁচু পাহাড় থেকে প্রবল গতিতে জল ও পাথর পড়ছে রাস্তায়। ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা। রাস্তায় বড় বড় ফাটলও ধরছে। জলের তীব্রতায় বহু অংশে রাস্তা অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। জলের ধাক্কায় রাস্তার পিচ সরে গিয়ে জল-কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে বেগতিক হয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *