লাগাতার বৃষ্টি, হাফলং-শিলচর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস, বন্ধ যাতায়াত


হাফলং (অসম), ১৮ জুন (হি.স.) : হাফলং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচল করা এখন দস্তরমতো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই জাতীয় সড়ক ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায়। গত তিনদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে হাফলং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস নেমেছে। ফলে বন্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়কে যাতায়াত।

লাগাতার বৃষ্টির জেরে হারাঙ্গাজাও এবং বান্দরখালে ভয়ংকর ধস নেমে হাফলং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে পড়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (নাহাই) ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

অবিরাম বৃষ্টির দরুন আজ মঙ্গলবার বান্দরখালে জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। বান্দরখালের কাছে পাহাড় থেকে মাটি-কাদা-জল ও বড়বড় গাছ ধসে পড়ায় ওই সড়কপথটি বন্ধ হয়ে পড়েছে। যার দরুন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ওই সড়ক পথে যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ধসমুক্ত করে সড়কপথটিকে সচল করে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বৃষ্টি তাঁদের কাজে সমস্যার সৃষ্টি করছে। তাই এখনও সড়কটি ধসমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এখনও পাহাড় থেকে নেমে আসছে জল-কাদা-মাটি।

এদিকে ধস নেমে জাতীয় সড়কটি বন্ধ হয়ে পড়ায় রাস্তার দুপাশে বহু যানবাহন আটকে পড়েছে। গুয়াহাটি, নগাঁও, লংকা, লামডিং, শিলচরে ওই ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। মেঘালয়ের সোনাপুর, লুমসুম এবং রাতাছড়ায় জাতীয় সড়কে ধস নেমে ওই সড়কেও যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। ফলে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে পণ্য সামগ্রী নিয়ে বরাক উপত্যকা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরে যায়ায়াতকারী বহু লরি আটকে পড়েছে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে।

এমতাবস্থায় কবে নাগাদ ধস সাফাই করে জাতীয় সড়কটিকে সচল করে তোলা হবে এ নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সংশয়। বৃষ্টি বন্ধ না হলে ওই সড়কপথটি সচল হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বর্তমানে ধস-বিধ্বস্ত বান্দরখালের অবস্থা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।