BRAKING NEWS

বেহাল কাঞ্চনপুর মহকুমার প্রধান সড়কটি, সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ১৬ জুন: উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল। তাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালকসহ যাত্রী সাধারণকে। সড়ক নির্মাণ সংস্থার পাপের খেশারদ দিচ্ছে আমজনতা। বন্ধ হয়ে পড়ছে কাঞ্চনপুর মহকুমার লাইফ লাইন সড়ক। বেহাল সড়কের কারণে কাঞ্চনপুর মহকুমায় ভারি যানবাহনের প্রবেশ প্রায় বন্ধ। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মহকুমার গনবন্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য কাঞ্চনপুর থেকে লালছড়া পযর্ন্ত  ১৮ কিমি ডাবল রাস্তা  এনএইচআইডিসিএলের প্যাকেজ টু  কাজ হচ্ছে।  এই ডাবল লেনের রাস্তার কাজটির দায়িত্বে রয়েছে এন এইচ আই ডি সি এলের  ঠিকাদার হলো জেকেএম  ইমফ্রা ওয়ার্ক এলএলপি  নামে গৌহাটির একটি বেসরকারি  কোম্পানি। দেখা যাচ্ছে বিগত অর্থবছরের শুখা মরশুমে সড়ক নির্মাণ সংস্থাটি কাজ শুরু করে। সংস্থা কাজের শুরুতেই দীর্ঘ আঠারো কিমি সড়কই এক সঙ্গে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। কিন্তু মাটি কাটার কাজ করেই নির্মাণ হঠাৎ কাজ আটকে যায়। দেখা যাচ্ছে সড়কের কোন কোন অংশ পাকা পিছ ডালাই করা হয়েছে। অথচ অধিকাংশ সড়কের, অংশ মাটি কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে বর্ষা আসতেই সম্পূর্ন সড়কটি জল কাঁদায় ভরে গেছে। আবার  সড়কের কোথায় কোথায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে  মূল সড়কটিই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

কিন্তু সবথেকে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে এই সড়কটি কাঞ্চনপুর মহকুমার লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর পেঁচারথল সড়কের মনুমনপুই থেকে কাঞ্চনপুর জম্পুই সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।দেখা যাচ্ছে নির্মাণ সংস্থা শুখামরশুমের শেষের দিকেই কাঞ্চনপুর প্রবেশের অংশ মনুমনপুই থেকে দেও নদী পর্যন্ত অংশটির মাটি কাটার কাজ শুরু করে। ফলে সড়কের এই অংশটি মাটি কাটা অবস্থায় বর্ষা এসে যাওয়ায় সম্পুর্নভাবে বেহাল অবস্থা ধারণ করেছে। টানা বর্ষণে ফলে সড়কের এই অংশটুকু জল কাঁদায় ভরে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

অথচ এই সড়ক দিয়ে কাঞ্চনপুর মহকুমার সঙ্গে রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ও উনকোটি, ধলাই জেলাসহ অন্যান্য মহকুমার যোগাযোগ। এই সড়কটিকে কাঞ্চনপুরের জীবন রেখা বলা হয়। তাই বাধ্য হয়ে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু সড়কটি বর্তমানে এতো ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে রাস্তাটির সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় নাগরিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *