বাসন্তীর, ১৩ জুন (হি. স.):বাসন্তীর মসজিদবাটি গ্রামে কুমিরের আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা লোকালয়ে কুমিরটিকে দেখতে পায়। একটি পুকুর পাড়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল কুমিরটি। কুমিরের খবর দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্থানিয়রা সেখানে ভিড় জমান। মানুষের চেঁচামেচিতে মঙ্গল মন্ডলের পুকুরে ঝাঁপ দেয় কুমিরটি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দীর্ঘ প্রায় দু ঘণ্টার প্রচেষ্টায় কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হয় বনকর্মীরা। সেটিকে উদ্ধার করে আপাতত সজনেখালিতে বন দফতরের বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সুস্থ বলে প্রমানিত হলে কুমিরটিকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোন এক নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বন দফতর ও স্থানীয়দের অনুমান মসজিদবাটি গ্রাম সংলগ্ন করতাল অথবা বিদ্যাধরী নদী থেকে কুমিরটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। এদিন কুমির উদ্ধারের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে তল্লাশি চালিয়ে ১৭ টি কুমিরের ডিম উদ্ধার করেছে বন দফতর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “ জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। সেই সময় মিষ্টি জলের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ার প্রবনতা রয়েছে। এটিও সেভাবেই ঢুকে পড়েছিল। উদ্ধার হওয়া কুমিরটি একটি স্ত্রী কুমির এবং লম্বায় প্রায় দশ ফুট। আনুমানিক দশ থেকে বারো বছর বয়স হবে এটির।” উদ্ধার হওয়া ডিমগুলিকে ফোটানোর ব্যবস্থাও বন দফতরের তরফ থেকে করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কুমির ধরা পড়লেও এই ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত। স্থানীয় বাসিন্দা শিখো বেগ, মঙ্গল মণ্ডলরা বলেন, “ আগে কোনদিন এরকম ভাবে কুমির গ্রামের মধ্যে ঢোকেনি এখানে। আচমকা কুমির ঢুকে পড়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। সকলকেই সাবধানে সতর্ক ভাবে চলাফেরার জন্য বলা হয়েছে।”