নেশা পাচার বাড়ছে সীমান্ত এলাকায়, এলাকায় ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৩ জুন: আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় এখন পাচার বাণিজ্যের রমরমা। খোয়াই মহকুমার ভারত বাংলা সীমান্ত এলাকা গরু, চিনি, পেঁয়াজ, আলু পাচারের নিরাপদ করিডোর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। অবৈধ পাচার বাণিজ্যের পাচারকারী চক্রের পাণ্ডাদের সাথে অনৈতিক যোগসাজশ ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ- র বিরুদ্ধে।

খোয়াই মহকুমার শ্রীরামপুর থেকে খেঙরাবাড়ি পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে বেড়ার তারগুলো অনেকটাই জং ধরা ও মরচে পড়া। কোন কোন জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া ভেঙ্গে পড়েছে। সেই জায়গাগুলি বাঁশ দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে বিএসএফ-র তরফ থেকে। ফলে এগুলো এখন অনেকটাই দুর্বল। সহজেই কাঁটাতারের বেড়ার তারগুলো এখন দু আঙুলে চাপ দিয়েই ভেঙে ফেলা যায়। আর বিশেষ করে গরু পাচারকারীরা এখন এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে।

এছাড়া সীমান্ত এলাকাগুলোতে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে অনেক স্থানেই রয়েছে কালভার্ট।এসব কালভার্টের ভেতর দিয়েও সহজেই গরু পাচার করা সম্ভব। তাই জং ধরা ও মরচে পড়া কাঁটাতারের বেড়ার তারগুলো ভেঙে গরু পাচারের প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করে এই পথেই ভারতীয় এলাকার ভূখণ্ডের থেকে একসাথে অনেকগুলো গরু এপার থেকে ও পাড়ের খুব সহজে গরু ব্যাপারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর রাত্রি বেলা এছাড়া কালভার্টের ভেতর দিয়ে গরু পারাপারের সুবর্ণ সুযোগ তো রয়েছেই। গরু পাচারের ক্ষেত্রে পাচারকারী পাণ্ডা ও গরু ব্যাপারীদেরকে সহায়তা করে চলেছে বিএসএফ।  এই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মানুষজনের কাছ থেকে।

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, খোয়াই মহকুমার বিদ্যাবিল, গৌরনগর, বেলছড়া, বগাবিল খেঙ্গরা বাড়ি ইত্যাদি ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাগুলোই এখন গরু পাচার বাণিজ্যের নিরাপদ মৃগয়াক্ষেত্র। প্রতিটি সীমান্ত এলাকায়ই বিএসএফ -র বিভিন্ন ব্যাটেলিয়নের বি ও পি অর্থাৎ বর্ডার আউট পোস্ট ক্যাম্প রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে রক্ষকই নাকি এখন ভক্ষক হয়ে উঠেছে।

খোয়াই মহকুমার বাগানবাজার সহ কমলপুর, কুলাই, রানীর বাজার, সোনামুরা এলাকার গরুর হাট থেকে গরু কিনে নাকি বেলছড়া একটি রাবার বাগানের ভেতরে নির্জন স্থানে সব গরু একত্রিত করে রাখা হয়। পরে এখান থেকে নাকি এক দেড়শো গরু একসাথেই পার করে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *