আগরতলা, ৭ জুন: সাম্প্রতিক কালে প্রবল ঝড় বৃষ্টির ফলে নবনির্মিত ২০৮(এ) জাতীয় সড়ক অনেক জায়গায় ভেঙে যায়। অবশেষে সংস্কারের কাজ শুরু করলো রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থা।
ঊনকোটি জেলায় নিকাশী-ব্যবস্থা(ড্রেইন) ভালো না হওয়ায় রাস্তার পাশ ভেঙে যাচ্ছে খুব স্বল্প সময়েই। কিছুদিন পূর্বে রেমেল এর সতর্কবার্তার পর রাজ্যে সবচাইতে বেশী বৃষ্টিপাত হয় ঊনকোটি জেলায়। আর যার ফলে জাতীয় সড়ক ২০৮(এ) এর বিভিন্ন জায়গা বড়সড় ভাঙন দেখা দেয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে উন্নত রাস্তা তৈরী করলেও অল্প দিনেই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় নিম্নমানের রাস্তা তৈরীর অভিযোগও উঠছে রাস্তা তৈরী করা নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে। নিম্নমানের জাতীয় সড়ক ২০৮(এ) এর ভাঙন অব্যাহত,ক্ষোভ সর্বত্র।”
নির্মানকারী সংস্থা সহ ঊনকোটি জেলার দুই মহকুমা শাসকদের সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা নিজে ভেঙে যাওয়া জাতীয় সড়ক ২০৮(এ) পরিদর্শন করেন এবং তার পর নির্মাণকারী সংস্থার সাথে এক বৈঠক করেন জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা নির্মানকারী সংস্থাকে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে রাস্তা সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থা এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল জেলাশাসককে আশ্বস্ত করেন যে ২০২৪-এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাস্তা গুলোর সংস্কার করা হয়ে যাবে।
এই বিষয় নিয়ে জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা সাত জুন শুক্রবার বিকেলে সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, স্থানীয় জনসাধারণ জাতীয় সড়কের পাশে নিকাশী-ব্যবস্থা নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন সেটা সত্য। কারন, উত্তর জেলার জম্পুইতে যে পাথর যুক্ত মাটি রয়েছে ঊনকোটি জেলায় সেটা অনেকটাই কম বা নেই বললেই চলে। তাই রাস্তার পাশের গার্ড ওয়াল গুলো আরো উন্নত করা এবং নিকাশী-ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় পূর্ত দপ্তরকেও রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থা এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল-কে সহযোগিতা করা ও বিশেষ নজর রাখার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা।