লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনের নিউ হাফলং ও মাইগ্রেনডিসার মধ্যে ফের ধস, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ট্রেন চলাচল

  • বিপাকে ২ জুন গুয়াহাটিতে আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনুষ্ঠেয় এন্ট্রান্স–এর পরীক্ষার্থীগণ, মুখ্যমন্ত্রীকে তারিখ পিছনোর আর্জি

হাফলং (অসম), ৩০ মে (হি.স.) : নিউ হাফলং ও মাইগ্রেনডিসার মধ্যে ফের ধস নামায় লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। কবে নাগাদ পাহাড় লাইনে ট্রেন পরিষেবা সচল হবে, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরাট অনিশ্চয়তা।

শুকনো মরশুমে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মাহুর থেকে ডিটেকছড়া ডাইভার্শন অংশে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বা ধস প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বার বার এই বিপর্যয় ঘটছে। গত ২৬ মে পাহাড় লাইনের জাটিঙ্গা লামপুরের কাছে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, তা থেকেও রেল কর্তৃপক্ষ যে শিক্ষা নেয়নি, তার প্রমাণ পুনরায় বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি এই বিপর্যয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিউ হাফলং ও মাইগ্রেনডিসার মধ্যে পুনরায় ধস নামে। তাছাড়া বৃষ্টির দরুন নিউ হাফলং ও নিউ হারাঙ্গাজাও স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর পাহাড় থেকে নেমে আসা জল ও কাদায় একাকার হয়ে গেছে। এমন-কি ৯ নম্বর এবং ১৪ নম্বর টানেলে পাহাড় থেকে নেমে আসা জল নদীর রূপ ধারণ করেছে।

বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোপুরি বাতিল করার পাশাপাশি আংশিকভাবে যাত্রা বাতিল করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত। যার দরুন পাহাড় লাইনে ডিমা হাসাও জেলা সহ বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মণিপুর দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এতে এ সব অঞ্চলের রেলযাত্রীদের প্রচণ্ড দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া দূরপাল্লার ট্রেনগুলি গুয়াহাটি কিংবা লামডিং আসার পর তাদের যাত্রা আংশিক বাতিল করা হচ্ছে। এতেও রেলযাত্রীদের প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

হাফলং শহরে বহু হোটেলে বরাক উপত্যকা সহ ত্রিপুরা ও মিজোরামের রেলযাত্রীরা আশ্রয় নিয়েছেন। আগামী ২ জুন গুয়াহাটিতে আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির জন্য এন্ট্রান্স পরীক্ষা রয়েছে। এতে এই অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থী যাঁরা গুয়াহাটিতে গিয়ে পরীক্ষা দেবেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ রেলপথ ও সড়ক দুটি বন্ধ হয়ে পড়ায় এ সকল ছাত্রছাত্রীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

তাই যে সকল ছাত্রছাত্রী ডিমা হাসাও বা অন্যান্য জায়গা থেকে গিয়ে গুয়াহাটিতে আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসবেন, তাঁদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অনেক ছাত্রছাত্রী ২ জুনের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে আবেদন জানিয়েছেন।