নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২৯ মে: ভোট গণনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ধর্মনগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন রিটার্নিং অফিসার। ভোট গণনা অবাধ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল স্তরের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন ধার্য করা হয়েছে ৪ জুন। এই গণনা কার্য উত্তর জেলায় কোথায় এবং কেমন করে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে উত্তরের জেলা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। উত্তর জেলা শাসক নিজের কনফারেন্স হলে জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ,পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী এবং অতিরিক্ত জেলা শাসক বিপ্লব দাসের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক সম্পন্ন হয়।
উত্তর জেলাতে ধর্মনগরের চারটি কেন্দ্র পানি সাগরের একটি এবং কাঞ্চনপুরে দুইটি কেন্দ্র ভোট গণনা সম্পন্ন হবে। স্বাভাবিকভাবে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত একটা জোন বানাতে হবে তার মধ্যে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হবে। মোট ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা থাকবে তার মধ্যে ঢুকতে হলে প্রত্যেককে আইকার্ড দেখাতে হবে। গণনাককেন্দ্র গুলিতে শুধুমাত্র মিডিয়া সেন্টারে মোবাইল এবং অন্যান্য সামগ্রী চালনা করতে পারবেন সাংবাদিকরা।
গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য যিনি দায়িত্বে থাকবেন তার অনুমতি নিয়ে এবং নির্দিষ্ট ভিডিও নিয়ে যেতে হবে। রাউন্ড ওয়াইজ ফলাফল মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে। গণনার দিন যাতে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কারভাবে কাজ করা যায় তার জন্য প্রশাসন সর্ব প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছে। মহকুমা স্তরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এ আর ও নিয়ে সভা সম্পন্ন হয়ে গেছে এমনকি রাজ্যের চীফ ইলেকট্রন অফিসার গণনা কেন্দ্রগুলি পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী জানান সিআরপিএফ এবং স্টেট আর্ম পুলিশ কোন না কেন্দ্রে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য তৈরি থাকবে।
তাছাড়া নির্বাচন শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন গন্ডগোল যাতে না হতে পারে তাই পুলিশ প্রশাসন তৈরি আছে। পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সভা ইতিমধ্যেই সেরে নিচ্ছেন যাতে কোন ধরনের গন্ডগোল নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেও গণনা কেন্দ্রে গণনার পর্ব শেষ হলেও না হয়।
প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য সাতটি হলে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলে থাকবে ১৪ টি এবং একটি টেবিল, আরেকটি হলে থাকবে বারটি এবং একটি টেবিল, আরেকটি হলে থাকবে ১১ টি এবং একটি টেবিল বাকি গুলি সব ১০ টি এবং একটি টেবিল নিয়ে গণনার কার্য সম্পন্ন হবে। নির্বাচনোত্তর পরিবেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।