পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ মে (হি. স.): ঘাটাল, দাসপুর, পাঁশকুড়া পশ্চিম, কেশপুর, পিংলা, সবং, ডেবরা-সাতটি বিধানসভা নিয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র। অথচ শনিবার দুপুর পর্যন্ত বারে বারে বাকি ৬টি বিধানসভাকে ছাপিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এল কেশপুর। এই অবস্থায় হিরণ প্রকাশ্যেই অভিযোগ তুললেন, “কেশপুরকে পাকিস্তান করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।
বেলা ২টো পর্যন্ত কেশপুরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে দেখা গেল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণকে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বিজেপির বক্তব্য, দেবের এই লিডের সিংহভাগই জুগিয়েছিল কেশপুর। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এবারেও কেশপুরের ভোটে সকাল থেকে তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে বুথের পর বুথে ছাপ্পা মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করলেন হিরণ।
বিজেপি প্রার্থীর কথায়, “কেশপুরের অনেক বুথে এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। অনেক জায়গায় মানুষকে বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমি এলাকায় পৌঁছতে চাইলে আমারও গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির সামনে খড়ের গাদা এনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে অন্য সময় এখানে কী হয়? এ তো পুরো পাকিস্তান!”
যদিও বিরোধী প্রার্থীর আনা অভিযোগের জবাব তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেব বলেন, “বাহিনীর ঘেরাটোপে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। হিরণের কোনও অভিযোগ থাকলে কমিশনে জানান, এভাবে মিথ্যে অভিযোগ করে বাজার গরম করার চেষ্টা কাজে আসবে না।”
২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেশপুর থেকেই সিপিএম প্রার্থী নন্দরানি ডল প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। যা নিয়ে সে সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। হিরণের অভিযোগ, “কেশপুরের সেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের হাত ধরে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।”
2024-05-25