কিছু ‘মহারাজ’ সরাসরি রাজনীতি করে দেশের সর্বনাশ করছেন: মমতা

হুগলি, ১৮ মে (হি. স.) : ভারত সেবাশ্রম, রামকৃষ্ণ মিশনের একাংশ মহারাজ সরাসরি রাজনীতি করে দেশের সর্বনাশ করছে। শনিবার আরামবাগের নির্বাচনী সভা থেকে বড় অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “সব সজ্জন সমান হয় না। সব সাধুও নয়। আমাদের মধ্যেই কি সবাই সমান আছেন? আমি চিহ্ণিত করেছি বলেই বলছি।”এর পরই মমতা বলেন, “ভারত সেবাশ্রমকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় ওরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। তিনি ওখানে বলছেন- তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেব না। সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না, কারণ তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। আমি চিহ্ণিত করেছি, কে কে করেছেন।”

বাম জমানার প্রসঙ্গ টেনে মমতা মনে করিয়েছেন, “আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে। ওদের আমি কী সাহায্য করিনি? সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলাম। আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধীকার নিয়ে আমি কিন্তু পুরো সমর্থন দিয়েছিলাম। মা, বোনেরা আসত, তরকারি কেটে দিত। সিপিএম কিন্তু আপনাদের কাজ করতে দিত না। নদিয়াতে ইস্কনকেও ৭০০ একর জমি দিয়েছি।”

মমতার কথায়, “আমিও জানি একটা, দুটো থাকবে। দিল্লি থেকে ওদের কাছে নির্দেশ আসে, বলে একে ভোট দিতে বলো। কিন্তু সাধু, সন্তরা কেন একাজ করবেন? ওদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওদের যারা দীক্ষা নেন, তাঁরা ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন তো ভোট দেয় না। তাহলে অন্যকে কেন ভোট দিতে বলবে?”

মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “কেউ কেউ হিংসা করছে, সবাই নয়। কিন্তু মনে রাখবেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, যদি এই মেয়েটা না বেঁচে থাকত।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বামীজির বাড়ি দখল করার চেষ্টা হয়েছিল। ডঃ সুব্রত মৈত্র রাতে তাঁকে ফোন করে একথা জানান।

মমতার কথায়, “পরের দিন মেয়রকে পাঠিয়ে বললাম- যা টাকা লাগে রাজ্য দেবে,, ওই বাড়ি স্বামীজির থাকবে। অন্য কারও নয়। সিস্টার নিবেদিতার বাড়িও দখল হয়ে যাচ্ছিল। আমরাই সেটা রক্ষা করেছি। অনেকে ভুলে গেছে, তাই বলছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *