কোকরাঝাড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীবাহী বাস, জখম ৪২, হাসপাতালে আহতদের খোঁজ মন্ত্রী উর্খাও গৌরার

কোকরাঝাড় (অসম), ১৮ মে (হি.স.) : কোকরাঝাড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ৪২ জন যাত্রী। আহত যাত্রীদের খোঁজ নিতে কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গেছেন রাজ্যের মন্ত্রী উর্খাও গৌরা ব্রহ্ম।

আজ শনিবার ভোরে কোকরঝাড়ে জেলার অন্তর্গত শেরফাংগুড়ির আঠিয়াবাড়িতে ৩১ নম্বর (গ) জাতীয় সড়কে সংঘটিত হয়েছে দুৰ্ঘটনাটি। জানা গেছে, এএস ০১ পিসি ৫৬২৫ নম্বরের যাত্রীবাহী একটি সুপার বাস পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার থেকে অসমের কামরূপ জেলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। কিন্তু আঠিয়াবাড়ি এলাকায় আসার পর জাতীয় সড়কের পাশে একটি রেলিঙে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগে বাসটির। এতে ঘুমে আচ্ছন্ন অধিকাংশ যাত্রী কমবেশি জখম হয়েছেন। এদিকে দুৰ্ঘটনা সংঘটিত করে বাসের চালক পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

দুৰ্ঘটনাগ্ৰস্ত বাসের ১৮ জন আহত যাত্ৰীকে চিকিৎসার জন্যে কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করার পাশাপাশি ২৩ জনকে দোতমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজে ভরতি দুজনের অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি ১৮ জন যাত্ৰীর খবর নিতে যান মন্ত্ৰী উৰ্খাও গৌরা ব্ৰহ্ম। তিনি আহত যাত্ৰীদের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন, কথা বলেছেন কর্তব্যরত ডাক্তারদের সঙ্গে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী ব্রহ্ম জানান, আহতদের চিকিৎসা প্ৰদানে কোনও ত্ৰুটি রাখছেন না ডাক্তাররা। তবে গুরুতরভাবে আহত দুই যাত্ৰীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বরপেটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। আহত সকলের আশু আরোগ্য কামনা করেছেন মন্ত্ৰী উর্খাও গৌরা ব্রহ্ম।

প্রসঙ্গত, কামরূপ (গ্ৰামীণ) জেলার অন্তর্গত রানি, আজারা প্রভৃতি এলাকা থেকে ৪২ জন যাত্ৰী নিয়ে বাসটি গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গিয়েছিল। কোনও এক কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে তাঁরা কোচবিহার গিয়েছিলেন। কবিরাজকে দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে যাত্রী দলটি আজ ভোররাত প্রায় ২:০০টা নাগাদ অসমে স্বগৃহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল৷

আহত যাত্রীদের অভিযোগ, বাসের চালক তীব্ৰগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। তাকে বহুবার ধীরে ধীরে চালাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শত অনুরোধেও চালক যাত্ৰীদের কথায় কর্ণপাত না করায় দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *