নিজস্ব প্রতিনিধি, গণ্ডাছড়া, ১২ মে : রাজ্যের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত গন্ডাছড়া মহকুমা। শিক্ষা স্বাস্থ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ সবদিক থেকেই এখনও অনেক পিছিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমার মানুষজন। জাতি উপজাতি উভয় অংশের মানুষের বসবাস এই মহকুমায়। গন্ডাছড়া মহকুমার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও বাস্তবে ওইসব প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়ন নিয়েও নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।
গন্ডাছড়া মহকুমার জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। গণ্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি প্রাথমিক হাসপাতালের বেহাল দশা। স্বাস্থ্য পরিসেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। ধলাই জেলা গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত রইস্যাবাড়ি প্রাথমিক হাসপাতালটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র দুজন ডাক্তার, তিনজন নার্স এবং পাঁচ জন জিডিএ স্টাফ দিয়ে কোনরকম ভাবে চলছে। নেই কোন স্থায়ী ফার্মাসিস্ট। অথচ এই হাসপাতালটির উপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জাতি জনজাতি অংশের মানুষ। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের বছরের পর বছর ধরে একই চিত্র।
পনেরো বছরের পুরানো হাসপাতালের বিল্ডিং ঘরটির বেশ কয়েকটি দরজা জানালা ভাঙ্গা। যার ফলে বৃষ্টি হলে ভাঙ্গা দরজা জানালা দিয়ে ঘরে জল ঢুকে। পাশাপাশি মশা মাছি ঢুকছে অনবরত। এছাড়া রইশ্যাবাড়িতে প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না, বিশেষ করে বর্ষার সময়। তখন প্রচন্ড এই গরমের মধ্যে রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীদের দারুণভাবে অসুবিধায় পড়তে হয়। যদিও হাসপাতালে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০১০ সাল থেকে দামি এই জেনারেটর’টি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক অবগত থাকলেও জেনারেটর’টি সারাইয়ের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালে সোলার লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে। সোলারের সাহায্যে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বললেও ঘুরছে না পাখা। এমতাবস্থায় দাবি উঠেছে রইস্যাবাড়ি প্রাথমিক হাসপাতালটিকে আধুনিকমানের হাসপাতালে পরিণত করে গড়ে তোলার। যেখানে থাকবে না স্বাস্থ্য কর্মীর সংকট থেকে শুরু করে ডেলিভারি রুমে বেডের অভাব। গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, দাবি মহকুমাবাসীর।

