BRAKING NEWS

কন্ধমাল, বলাঙ্গির এবং বারগড়ে আয়োজিত জনসভা থেকে ওড়িশার বিজেডি সরকারকে তীব্র আক্রমণ মোদীর

ভুবনেশ্বর, ১১ মে (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শনিবার ওড়িশার কন্ধমাল, বলাঙ্গির এবং বারগড়ে আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে না দেওয়া এবং কৃষকদের উপেক্ষা করার জন্য ওড়িশার বিজেডি সরকারকে তীব্র ভাবে নিশানা করেন। কংগ্রেসকেও কড়া আক্রমণ করেন তিনি। মহাপ্রভু জগন্নাথের রত্ন ভান্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে অনেক প্রশ্নও করেন তিনি। অনুষ্ঠান চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সম্বলপুরের প্রার্থী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কন্ধমালের প্রার্থী শ্রী সুকান্ত কুমার পানিগ্রাহী, বলাঙ্গীর প্রার্থী শ্রীমতি সঙ্গীতা কুমারী দেব এবং অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তুলা বাহরা জি নামে একজন মা এসে আমাকে সম্মান করেছিলেন এবং আমি তার গল্প শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তুলা বাহরা জি ভিক্ষা করে ভগবান জগন্নাথকে এক লক্ষ টাকা উৎসর্গ করেছেন। এমন পবিত্র হৃদয়ের মা যখন আমাকে আশীর্বাদ করে তখন মনে হয় পুরো ওড়িশা আমাকে আশীর্বাদ করছে। ওড়িশার গ্রামীণ ভাষায় কবিতা লেখা পূর্ণমাসি জনীকে পদ্ম পুরস্কার দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। গতকাল সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বরে, একটি বিশাল জনসমুদ্র বিজেপিকে তার বিশাল বিজয়ের জন্য আশীর্বাদ করছিল এবং আমি ওড়িশার মানুষের ভালবাসার এই ঋণ শোধ করব ওড়িশার উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। বোলাঙ্গিরের নরসিংহ প্রসাদ গুরি জি ছাড়াও, এই বছর বিজেপি বিনোদ কুমার পাসায়াত, ভাগবত প্রধান, গোপীনাথ এবং বিনোদ মহারানাকে পদ্ম পুরস্কার দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, ২৬ বছর আগে এই দিনে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিলেন এবং বিজেপি দেখিয়েছিল যে কীভাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ একটি সরকার দেশের জাতীয় স্বার্থ এবং সুরক্ষার জন্য কাজ করে। বিজেপি সরকারের পরমাণু পরীক্ষার কারণে প্রতিটি দেশে বসবাসকারী প্রতিটি ভারতীয় গর্বিত হয়েছিল। একদিকে, সেই দিন যখন ভারত তার সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছিল বিশ্বের কাছে, অন্যদিকে কংগ্রেস বারবার নিজের দেশকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে বলে হুমকি দিয়ে কংগ্রেস নেতারা দেশের মনোবল নষ্ট করছে, কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সে দেশ পারমাণবিক অস্ত্র সামলাতেও প্রস্তুত নয় এবং কেউ এই অস্ত্র কিনতেও প্রস্তুত নয়। কংগ্রেসের এই দুর্বল মনোভাবের কারণে, জম্মু ও কাশ্মীর ৬০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের পাঠ পড়ানোর পরিবর্তে কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে বৈঠক করত। ২৬/১১-এর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার পর, কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্কের ভয়ে সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায় নি। কংগ্রেসের শেহজাদারা ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় একই স্ক্রিপ্ট পড়ছেন এবং এখন তারা এগুলো লিখে রাখতে বলছেন, কিন্তু কংগ্রেসের এটা লিখে রাখা উচিত যে এবার জনসাধারণ ৪০০-এর বেশি আসনে ভোট দিয়ে এনডিএকে বিজয়ী করবে এবং কংগ্রেসকে বিরোধী হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত আসন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত মনস্থির করেছে। কংগ্রেস ৫০-এর কম আসনে থেমে যেতে চলেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন বিকশতি ওড়িশা ও বিকশিত ভারতের সংকল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনগণের প্রতিটি ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ওড়িশা একটি ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করার এবং ২১টি আসনে বিজেপিকে বিজয়ী করার মনস্থির করেছে। ‘উন্নয়ন ও ঐতিহ্য’-এই মন্ত্র নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। দেশের ৫০০ বছরের অপেক্ষা কেবল বিজেপি সরকারের অধীনেই পূর্ণ হয়েছে এবং এখন অযোধ্যায় রাম মন্দির দেখে দেশ গর্বিত। রামলালাও এখন দেশকে আশীর্বাদ করছেন। রাজ্য বিজেপিও ওড়িয়া ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি নিবেদিত। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হলে, ওড়িয়া ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী পাবে এবং ৪ জুন বিজেডি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ। সকলেই জানেন যে বিজেডি সরকার ওড়িশায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সবাই জানেন, বিজেডি সরকার চালাচ্ছে কারা? বিজেডি-এর একজন ‘সুপার সিএম’ আছেন যিনি জনসাধারণের দ্বারা নির্বাচিত নন, বিজেডি এমন একজনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছেন যিনি ওড়িশার সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথেও পরিচিত নন।

শ্রী মোদী বলেছেন, কংগ্রেস সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়। তাঁরা এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণের অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে দিতে চায়, কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের রক্ষক একজন উপজাতীয় মহিলা এবং আপনাদের প্রধানমন্ত্রী ওবিসি সম্প্রদায়ের। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আপনাদের অধিকার কেউ কেড়ে নেবে না। যখন একজন আদিবাসী কন্যা এবং দেশের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুজি রামলালার দর্শন করে এসেছিলেন, তার পরের দিন কংগ্রেসের একজন বড় নেতা ঘোষণা করেছিলেন, এখন আমরা গঙ্গা জল দিয়ে রাম মন্দিরকে শুদ্ধ করব। এটা দেশ, আদিবাসী সমাজ ও মা-বোনদের অপমান। আমি চাই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জিকে যে কংগ্রেস অপমান করেছে তাদের সমস্ত আসনে জামানত জব্দ হোক, কারণ তারা একটি বড় পাপ করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ দশক আগে শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালনার জন্য নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল। এই নিয়ম রয়েছে যে মন্দিরের সোনা, রুপো, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির রেকর্ড রাখা হবে। শ্রী রত্ন ভান্ডারে রক্ষিত মূল্যবান দ্রব্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং এই রত্ন ভান্ডারের শেষ মূল্যায়ন করা হয়েছিল ৪৫ বছর আগে, যখন অলঙ্কার ও রত্ন এত বেশি ছিল যে মূল্যায়নকারীরা এই ভান্ডারটিকে অমূল্য বলে নিজেদের হাত তুলে দিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রী রত্ন ভান্ডার গত ৪০ বছর ধরে খোলা হয়নি, কিন্তু শ্রী রত্ন ভান্ডারের গর্ভগৃহের ভিতরের কক্ষের চাবি গত ৬ বছর ধরে অনুপস্থিত। কোথায় এবং কার কাছে চাবি আছে তা কি জানার অধিকার জনগণের নেই? রাজ্য সরকার বলছে, রত্ন ভান্ডারের ডুপ্লিকেট চাবি পাওয়া গেছে, কেন এই ডুপ্লিকেট চাবি তৈরি করা হল? সেই চাবি দিয়ে কি রাতে রত্ন ভান্ডার খোলা হয়? রাজ্য সরকার এই বিষয়টির তদন্ত একটি কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছিল, কিন্তু সেই রিপোর্ট ওডিশা সরকার প্রকাশ করেনি। কেন এই ইস্যু থেকে পালাচ্ছে বিজেডি সরকার? কার পাপে রাজ্য সরকার বাঁচাতে চাইছে? রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর শ্রী রত্ন ভান্ডারের স্বচ্ছতা ও সুনাম পুনরুদ্ধার করা হবে এবং এটাই মোদীর গ্যারান্টি।

শ্রী মোদী বলেন, আপনাদের সেবক মোদী আপনাদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। মোদীর প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। যতদিন দেশে একজনও দরিদ্র মানুষ থাকবে ততদিন মোদী শান্তিতে থাকবে না। ,মোদী স্থায়ী বাড়ি এবং বিনামূল্যে রেশনের নিশ্চয়তা দিয়েছে এবং এটি উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ব্যাপকভাবে উপকৃত করেছে। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনা নিয়ে এসেছে, যার অধীনে প্রতিটি বাড়িতে সোলার প্যানেল বসানোর জন্য প্রায় ৭৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতে শুধু বিদ্যুৎ বিলই শূন্য হবে না, সুবিধাভোগীরাও বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবেন, যা মানুষের আয়ও হবে। মোদী আপনাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিতে চান, কিন্তু ওড়িশার বিজেডি সরকার রাজ্যে আয়ুষ্মান প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি দিচ্ছে না। ওড়িশার জনগণ যখন রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করবে, তখন রাজ্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিত্সার প্রকল্পটি কার্যকর করা হবে। এই এলাকায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং মানুষের আয়ও বাড়ে, কিন্তু বিজেডি সরকারের উদাসীনতার কারণে এখানকার পর্যটনও ধ্বংসের মুখে। বিজেপি সরকার কৃষকদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়, কিন্তু বিজেডি সরকার ধান চাষীদেরও সমস্যায় ফেলেছে। বিজেডি সরকার ধান চাষীদের সম্পূর্ণ এমএসপিও দিচ্ছে না, তাই বিজেপি ওড়িশা ঘোষণা করেছে যে বিজেপি সরকার প্রতি কুইন্টাল ৩১০০ টাকা হারে ধান কিনবে এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া হবে। মোদী সরকার কন্ধমালের হলুদকে জিআই ট্যাগ দিয়েছে কিন্তু বিজেডি সরকারও হলুদ চাষীদের সমস্যায় ফেলছে। এখানে পর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধা নেই, তাই ওডিশা বিজেপি কন্ধমালে একটি মশলা পার্ক তৈরি করার ঘোষণা করেছে। বিজেপি সরকার জাতীয় হলুদ বোর্ডও গঠন করেছে। যতদিন বিজেডি এখানে ক্ষমতায় থাকবে ততদিন সুবিধাভোগীরা নিজেদের পূর্ণ অধিকার পেতে পারবে না। বিজেডি নেতারা বাংলো ও যানবাহন নিয়ে নিয়েছে, এখানকার যুবকরা অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপি সরকার জি-২০-র মাধ্যমে ওড়িশার কোনার্ক সূর্য মন্দিরকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ওড়িশার পাইকা সংগ্রামের স্মারক অনুমোদন করেছে এবং এই সংগ্রামের সম্মানে একটি মুদ্রা ও ডাকটিকিটও জারি করেছে। বিজেপি সরকার ৩ কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এর পাশাপাশি বিজেপি সরকার হোম স্টে সহায়তা দিচ্ছে। ওড়িশা বিজেপি মহিলাদের জন্য সুভদ্রা স্কিম ঘোষণা করেছে, যা মহিলাদের বিরাট সহায়তা প্রদান করবে। মোদী সরকারের সম্বল অভিযানের অধীনে, প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার টাকা পাঠানো হয়, তবে বিজেডি ওড়িশায় এই প্রকল্পটি নিষিদ্ধ করেছে।

শ্রী মোদী বলেছেন, যাঁদের কেউ প্রাধান্য দেয়নি, মোদী তাঁদের গুরুত্ব দেয়। এখানে বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের জন্য, বিজেপি সরকার ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প করেছে। ভূঁইয়া, ভুঞ্জিয়ান, বন্ডোপোরাজা এবং মানকিন্দিয়ার মতো অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের জন্য, মোদী ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা তৈরি করেছে এবং এই প্রকল্প ওড়িশার কন্যা এবং আমাদের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর নির্দেশনায় রূপ নিয়েছে। বিজেডি এবং কংগ্রেস কন্ধমালকে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসাবে ঘোষণা করে দূরে বজায় রেখেছিল, কিন্তু আমি এই জেলাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা হিসাবে ঘোষণা করে উন্নয়ন করার সংকল্প করেছি। প্রতিটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিজেপি সরকার এখানে অনেক একলব্য স্কুল বরাদ্দ করেছে কিন্তু বিজেডি নেতারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে আছে। বিজেডি নেতারা এখানকার আদিবাসীদের জমি দখল করছে। এখানে বিজেপি সরকার গঠিত হলে প্রতিটি মাফিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্ম থাকলে শান্তি ও উন্নয়ন হয়, পদ্ম থাকলে জ্ঞান-বিজ্ঞান থাকে, পদ্ম থাকলে প্রতিটি নারীর সম্মান থাকে, পদ্ম থাকলে সংকল্প পূরণ হয়, পদ্ম থাকলে নিরাপত্তা থাকে, পদ্ম থাকলে আত্মনির্ভরতার শক্তি থাকে, পদ্ম থাকলে গৌরবে ভরপুর ঐতিহ্য থাকে, পদ্ম থাকলে জয় ও আস্থা থাকে, পদ্ম থাকলে সম্মান ও অহংকার থাকে, পদ্ম থাকলে উন্নতির পথে থাকে ভারত। বছরের পর বছর মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত নবীন পট্টনায়ককে বোঝাতে হবে কেন ওড়িশার মানুষ তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট? নবীন পট্টনায়ক কাগজ ছাড়া ওড়িশার সব জেলার নাম বলতে পারবেন না। যে মুখ্যমন্ত্রী কাগজ ছাড়া নিজের জেলার নাম বলতে পারেন না, তিনি জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝবেন কী করে? জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ এমন নেতাদের করুণায় ছেড়ে দিতে পারে না। ওড়িশাকে এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। গুজরাটের চেয়ে ওড়িশায় ১০০ গুণ বেশি শক্তি, গুজরাট যখন এগিয়ে গেল তখন ওড়িশা পিছিয়ে গেল কীভাবে? ওড়িশায় খনিজ পদার্থের ভান্ডার রয়েছে, সেই কারণেই এখানকার ভূমির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওড়িশাকে এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি বিজেপির স্থানীয় লোকসভা ও বিধানসভা প্রার্থীদের বিজয়ী করে রাজ্যে বিজেপি সরকার এবং কেন্দ্রে আবারও মোদী সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *