ব্রাউন সুগার সহ বাজার ব্যবসায়ীদের হাতে আটক নেশাকারবারি

আগরতলা, ৯ মে: নেশায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ। ব্রাউন সুগার সহ বিশ্রামগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের হাতে আটক নেশা কারবারি। পরর্বতী সময়ে তাকে বিশ্রামগঞ্জ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্রামগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্রাউন সুগার বিক্রি করে যুবকদের নেশায় আসক্ত করে তুলছে বাগমা কড়ুইমুড়া এলাকার নেশা কারবারি জসীম মিয়া। বিশ্রামগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা পূর্বে জসীম মিয়াকে বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় নেশা জাতীয় সামগ্রী বিক্রি করতে বারণ করেছেন। বাজার ব্যবসায়ীদের সেই কথায় কোন রকম কর্ণপাত করে নি জসীম মিয়া।বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় বিশ্রামগঞ্জ বাজারে যুবকদের কাছে ব্রাউন সুগার বিক্রি করতে আসা জসীম মিয়াকে বিশ্রামগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা নেশা সামগ্রী সহ আটক করে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে খবর দেয় বিশ্রামগঞ্জ থানায়।পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিশ্রামগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের হাতে দুটি ব্রাউন সুগারের কন্টেনার  সহ আটক নেশাকারবারী জসীম মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বিশ্রামগঞ্জ সহ পাহাড়ি এলাকার যুবকরা ইতিমধ্যে ব্রাউন সুগারের নেশায় সম্পূর্ণ আসক্ত হয়ে উঠেছেন। আর নেশা কারবারীরা প্রতিনিয়ত নেশায় আসক্ত যুবকদের চড়া দামে  ব্রাউন সুগারের কন্টেনার বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করছেন। ব্রাউন সুগারের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে থাকার যুবকরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে চুরি ছিনতাই সহ অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যকে নেশা মুক্ত করতে  সরকার যেভাবে ভূমিকা গ্রহণ করেছেন তারপরও নেশা কারবারীরা কিন্তু পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিকদের ম্যানেজ করে তাদের সে নেশা বাণিজ্য জারি রেখেছে। রাজ্যে যে হারে প্রতিনিয়ত নেশা সামগ্রী পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে তার থেকেও অধিক নেশা সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করছে। অতএব নেশার হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে প্রথমত এগিয়ে আসতে হবে সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ। ব্রাউন শোকারের নেশায় আগামী প্রজন্ম যে ধ্বংসের মুখে সেই কথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। 

ইতিমধ্যে বিশ্রামগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নেশা জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার করেছেন এমনকি নেশা কারবারীদেরও গ্রেফতার করেছেন। কিন্তু কি হবে নেশা কারবারীরা সেটা ভালোই জানে নেশা সামগ্রী সহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ তাদেরকে ন্যূনতম ছয় থেকে তিন মাস জেল-হাজতে রাখতে পারবে পুনরায় সে বেরিয়ে এসে তার বাণিজ্য আবার চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *