ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। চ্যাম্পিয়নের হ্যাটট্রিক। ত্রিমুকুট জয়। সব শিরোনাম আজ সংহতির দখলে। বিপুল মজুমদার স্মৃতি সুপার ডিভিশনের পর, সমীরণ চক্রবর্তী স্মৃতি টি-২০ ক্লাব লীগ চ্যাম্পিয়ন। এবার তপন মেমোরিয়াল নকআউট ক্রিকেটেও সংহতি চ্যাম্পিয়ন খেতাব পেয়েছে। তাও ফাইনাল ম্যাচে বৃহস্পতিবার একই এলাকার ক্লাব কসমোপলিটনকে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে। ব্যাটে বলে আজ করিশমা দেখিয়েছে সম্রাট সূত্রধর। তবে দারুন সঙ্গ দিয়েছে শ্রীদাম পাল, অরিন্দম বর্মন এমনকি চিরঞ্জিত পালও। মোটকথা সংহতির সম্মিলিত প্রয়াস যেন তাদের চ্যাম্পিয়নের হ্যাটট্রিকের মূল চাবিকাঠি। এম বি বি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার, সকাল পৌনে ৯টায় ম্যাচ শুরুতে টস জিতে সংহতি প্রথমে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। ৪৭.২ ওভার খেলে ২২৩ রানে ইনিংস শেষ করে। দলের পক্ষে শ্রীদাম পালের ৬১ রান, অরিন্দম বর্মনের ৫৬ রানের পাশাপাশি সম্রাট সূত্রধরের ৩৯ রান উল্লেখযোগ্য। শ্রীদাম ৫৮ বল খেলে দুটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬১ রান সংগ্রহ করে। অরিন্দম ৪৩ বল খেলে আটটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি সহযোগে ৫৬ রান পায়। এছাড়া, অমরেশ দাসের ২৪ রান ও সঞ্জয় মজুমদারের ২০ রানও কিছুটা উল্লেখ করার মতো। কসমোপলিটনের দানবীর শিং ২২ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে বেশ সাফল্য পেয়েছিল। এছাড়া, বিক্রম দেবনাথ দুটি এবং সংকর পাল, চন্দন রায় ও শুভম একটি করে উইকেট পেয়েছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কসমোপলিটনের ব্যাটার্সরা তেমন ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি। ২২.৫ ওভার খেলে ৮৯ রানেই ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। চন্দন রায় অপরাজিত থেকে সর্বাধিক ৩২ রান সংগ্রহ করে। এছাড়া, বিক্রম দেবনাথের ১৮ রান ও শুভ্রজিৎ দাসের ১০ রান কিছুটা উল্লেখ করার মতো। অন্যদের ব্যাটে তেমন রান আসেনি। সংহতির সম্রাট সূত্রধর ২১ রানে তিনটি এবং চিরঞ্জিত পাল ও সঞ্জয় মজুমদার দুটি করে উইকেট পেয়েছে। এছাড়া, অমরেশ দাস ও অমিত আলী পেয়েছে একটি করে উইকেট। দারুন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সৌজন্যে সম্রাট পেয়েছে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচের খেতাব।