জরুরি কাজ ছাড়া নাগরিকদের বাড়ি থেকে বের হতে বারণ জেলাশাসকের
হাফলং (অসম), ২ মে (হি.স.) : অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে প্রকৃতি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লাগাতার বর্ষণের জেরে ধস নেমে লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইন অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরে অবস্থিত আবহাওয়া দফতর থেকে ডিমা হাসাও জেলায় বজ্রপাত সহ ভারি ঝড়বৃষ্টি হবে বলে সতর্কতা জারি করেছে। এর পর জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক সীমান্ত কুমার দাস আজ ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত ডিমা হাসাও জেলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করার পাশাপাশি বিনা কাজে জনসাধারণকে বাডির বাইরে না বেরনোর আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হলে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি হেল্প লাইন নম্বর খোলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে লাগাতার বর্ষণের জেরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টির দরুন পাহাড় থেকে নেমে আসা কাদা-জলের স্রোতে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের পাইপ লাইন ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। হাফলং শহরে লেকের জল বেড়ে যাওয়ায় রামনগর এলাকায় কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
রামনগর এলাকায় বহু বাড়িঘর জলের নীচে চলে গেছে। এমন-কি জলের প্রবল স্রোতে বহু ঘর ভেঙে জিনিসপত্র জলে ভেসে গেছে। তাছাড়া, মাইবাং মহকুমার দামাদি হাওরে ঝড়বৃষ্টির দরুন তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে।
প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি ফের তাজা করে দিয়েছে ২০২২ সালের সেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা। সেবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে সমগ্র ডিমা হাসাও জেলা কয়েক মাস বহিঃরাজ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল ২০২২ সালে।
তবে গতকালের লাগাতার বর্ষণে লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও, ভূতল সড়কপথ এখনও সচল।