BRAKING NEWS

কংগ্রেস তুষ্টিকরণে লিপ্ত, মুসলমানদের সংরক্ষণ দিয়ে অনগ্রসর শ্রেণির অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই দল : অমিত

  • অসমে ১২ আসনে ভরতীয় জনতা পার্টির বিজয় নিশ্চিত
  • রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনীতির মান দ্রুত নিম্ন গমন হচ্ছে
  • বিজেপির বিরুদ্ধে চলছে ব্যাপক অপপ্রচার, সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান শাহের
  • বিজেপি দেশের মাতৃশক্তির পাশে দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াবেও
    গুয়াহাটি, ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : যদি কোনও রাজনৈতিক দল তফশিলি জাতি (এসসি), তফশিলি জনজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য পশ্চাদপদ জাতি (ওবিসি)-ভুক্তদের সংরক্ষণের বিষয়ে আপস করার চেষ্টা করে থাকে, তা হলো কংগ্রেস দল। কংগ্রেস তুষ্টিকরণ রাজনীতিতে লিপ্ত, মুসলমানদের সংরক্ষণ দিয়ে অনগ্রসর শ্রেণির অধিকার কেড়ে নিয়ছে এই দল, বলেছেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা অমিত শাহ।
    আজ মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে দলের প্রদেশ সদর দফতরে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতাকে দু-পাশে বসিয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। কংগ্রেসকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস ধর্মীয় সংরক্ষণের পক্ষে ওকালতি করে। সমাজে বিভাজন সৃষ্টি তাদের অনন্তকালের নীতি, ওই সব নীতির তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। জোরের সঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেস ধর্মীয় সংরক্ষণের জন্য চাপ দিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদের বীজ বপন করে। অন্যান্য পশ্চাদপদ জাতিদের সঙ্গে মুসলমানদের পুনঃশ্রেণিভুক্ত করার যে প্রচেষ্টা কংগ্রেস চালিয়েছে তা উদ্বেগজনক। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকে কংগ্রেস এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় সমর্থক।
    চলমান লোকসভা নির্বাচন প্ৰসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি এবং মিত্রজোট উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করবে। অসমে ১২টি আসন নিশ্চিত। সৰ্বভারতীয় ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটে ১০০ আসনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে, দাবি কেন্দ্রীয় নেতার৷ তিনি বলেন, দক্ষিণ ভারতে এবার উল্লেখযোগ্য ফলাফল করবে বিজেপি। নির্বাচনে জনতার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, তাতে এই ধারণা দৃঢ় হচ্ছে। তাদের ঊর্ধ্বমুখী গতিপথে আস্থা রেখে ৪০০ আসন অতিক্রম করার সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী বিজেপি নেতা।
    ইতিবাচক পরিবেশ দেখে সন্ত্রস্ত কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী (বিরোধী) দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অমিত শাহ। তারা বিজেপির নির্বাচনী সাফল্যকে বিকৃত করার লক্ষ্যে অদ্ভুতধরনে ইচ্ছাকৃত কৌশল অবলম্বন করেছে। এ জাতীয় কৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। অমিত বলেন, রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনীতির মান দ্ৰুত নিম্ন গমন হচ্ছে।
    গত দশ বছরে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সুশাসনের খতিয়ান এবং আইনি সংস্কারের বর্ণনা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের পুরনো আইনগুলিকে অবলুপ্ত করে নতুন ভারতের যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্ৰসঙ্গক্ৰমে তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের মাতৃশক্তির পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সৰ্বদা দাঁড়াবেও।
    ভুল তথ্য সংবলিত কংগ্রেসের অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, বিজেপি জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে, তফশিলি জাতি (এসসি), তফশিলি উপজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) অধিকার রক্ষার সাংবিধানিক বিধানগুলি অবিচল এবং অক্ষত থাকবে। অধিকন্তু, বিজেপি দৃঢ়তার সঙ্গে এই সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণ বজায় রাখবে।
    কংগ্রেসের কড়া নিন্দা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, গভীর চক্রান্ত চালিয়েছে এই দল। বিজেপি নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভুয়ো ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ করেছেন। এর মূল কারিগর রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, একটি বিকৃত ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে জনগণের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার মতো নিকৃষ্ট কাজ করেছে কংগ্রেস। তিনি মানুষকে বিকৃত ভুয়ো ভিডিওকে বিশ্বাস না করে সত্য শোনার আহ্বান জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর ভাষণের আসল এবং বিকৃত ভিডিও প্রদর্শন করেছেন তা থেকে সত্য উদ্ঘাটনের আহ্বান জানিয়েছেন শাহ।
    অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্রের পরবর্তী মোদী সরকার সারা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) প্রয়োগ করবে। দেশে সবার জন্য হবে এক আইন। এতে কংগ্রেসের তুষ্টিকরণ নীতির অবসান ঘটাবেন তাঁরা।
    আমেথি এবং রায়বেরেলি থেকে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরার সম্ভাব্য প্রার্থিত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আস্থা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে উত্তরপ্রদেশে তাদের ঐতিহ্যবাহী আসন ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। বলেন, ‘তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা আমি নিশ্চিত করতে পারছি না। তবে এটা স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসের অভাবে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত পেয়ে উত্তরপ্রদেশে তাঁদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে তাঁরা পালিয়েছেন।’
    সত্য সংবাদ প্রকাশ করে জনগণকে ভুল তথ্য প্রাপ্তি এবং বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *