পাটনা, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার বিহারের আরারিয়ায় আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস এবং আরজেডি-এর তোষণের রাজনীতির আসল রূপ উপস্থিত জনগণের সামনে তুলে ধরেন এবং ইভিএম এবং ভিভিপি এর ক্ষেত্রে কংগ্রেসের দ্বৈত চরিত্রকে উন্মোচিত করেন।
এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি শ্রী সম্রাট চৌধুরী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় কুমার সিনহা, মন্ত্রী শ্রী বিজেন্দ্র যাদব, বিহার বিধান পরিষদের সদস্য শ্রী শাহনওয়াজ হুসেন, হাজিপুরের প্রার্থী শ্রী চিরাগ পাসওয়ান, আরারিয়ার প্রার্থী শ্রী প্রদীপ সিং, মুঙ্গেরের প্রার্থী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লল্লান সিং, বেগুসরাইয়ের প্রার্থী শ্রী গিরিরাজ সিং, খাগরিয়ার প্রার্থী রাজেশ ভার্মা এবং সুপৌলের প্রার্থী শ্রী দিলেশ্বর কামাত এবং অন্যান্য কর্মকর্তারামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বও বিশ্বাস করে এই সময়টা ভারতের সময়। বিশ্বও মনে করে যে ভারতে যত শক্তিশালী সরকার গঠিত হবে, বিশ্ব তত শক্তিশালী হবে। শুধুমাত্র জনগণের প্রতিটি ভোটের কারণে,গত ১০বছরে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে । এনডিএ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে দেশের স্বার্থে আরও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ বিহার সহ দেশের প্রতিটি কোণে ফের একবার মোদী সরকারের স্লোগান প্রতিধ্বনিত হচ্ছে । গণতন্ত্রের মহান উৎসবে দেশের স্বার্থে জনগণকে সর্বোচ্চ সংখ্যায় ভোট দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচন দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করার একটি নির্বাচন, যাতে বিহারের জনগণের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। দীর্ঘ দাসত্বের আগে, বিহার যখন সমৃদ্ধ ছিল তখন ভারতশক্তিশালি ছিল । বিহারের মানুষের মেধা, বুদ্ধিমত্তা ও কঠোর পরিশ্রমের সমতুল্য আর কোথাও পাওয়া যাবে না। বিহারের ক্ষমতা বাড়াতে দিল্লীতে দেশসেবক মোদী এবং বিহারে শ্রী নীতীশ কুমার নিরলসভাবে কাজ করছেন। মোদী সরকার দেশে বন্দে ভারত, অমৃত ভারত এবং বুলেট ট্রেনের মতো নতুন ট্রেন চালাচ্ছে। এখন ট্র্যাক থেকে ট্রেনের কোচ এবং ইঞ্জিন সবই শুধুমাত্র ভারতে তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রফতানি হচ্ছে। আগামী সময়ে, বিহারের রেল কারখানাগুলিও এর থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে চলেছে।
মোদী বলেন, গত ১০ বছরে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে বিশ্ব মঞ্চে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। দাসত্বের মানসিকতায় ঘেরা মানুষ চাইলেও এই নতুন ভারতকে বদলাতে পারবে না। দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের সময়, আমরা বিশ্বের সামনে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, আমাদের বিহারের মহান ঐতিহ্য তুলে ধরেছি। এখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিশ্বের সব বড় নেতাদের বাড়িতে নিজেদের ছবি রয়েছে। এনডিএ ভারতকে ২১ শতকের বৈশ্বিক জ্ঞান কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য নিবেদিত। বিশ্বের বৃহত্তম যোগ স্কুল মুঙ্গেরে। পদ্মভূষণ পূজ্য স্বামী নিরঞ্জনন্দ সরস্বতী জির প্রচেষ্টার কারণে, সারা বিশ্ব থেকে মানুষ এখানে যোগ শিখতে আসে। দাসত্বের মানসিকতায় ভরা এই দলগুলি আমাদের যোগকে বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এখন সারা বিশ্ব জুন মাসে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করে, তাই মুঙ্গের এবং বিহারের মানুষের জন্য গর্বিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। যোগ ও আয়ুর্বেদকে বৈশ্বিক করতে বিজেপি বড় ঘোষণা করেছে। এনডিএ সরকার যোগ এবং আয়ুর্বেদের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি এবং শংসাপত্র দেওয়ার একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। এনডিএ সরকার বিশ্বের জন্য যোগ এবং আয়ুর্বেদের উপর কোর্স তৈরি করতে এর সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সাহায্য করবে এবং এটি সারা বিশ্বে আমাদের যুবকদের যোগ এবং আয়ুর্বেদ সেক্টরে সুযোগ তৈরি করবে। মোদীর আরেকটি মিশন হল ভারতকে আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের মোটা শস্য শ্রী অন্ন বিশ্বের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া। বিহারে, আমাদের কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে শস্য উৎপাদন করে, তাই এটি দেশের কোটি কোটি ক্ষুদ্র কৃষকের আয় বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে চলেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরজেডি এবং কংগ্রেসের ইন্ডি জোট সংবিধান অথবা গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে না। যুগ যুগ ধরে ব্যালট পেপারের নামে গরীবদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তারা। আরজেডি ও কংগ্রেসের শাসনে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র, ব্যালট পেপার এবং ভোটের কাগজ লুটপাটের সাক্ষী বিহারের মানুষ। এমনকি দরিদ্র, দলিত ও পিছিয়ে পড়া ভাই-বোনদের লাঠির ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়। এখন যখন দেশের দরিদ্র ও সৎ ভোটাররা ইভিএমের ক্ষমতা পেয়েছে, তখন বিরোধীরা কীভাবে বোতাম টিপে সহজে ভোট হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত এবং সে কারণেই বিরোধীদের দিনরাত একমাত্র কাজ হচ্ছে যেভাবে হোক ইভিএম অপসারণ করা। ইন্ডি জোটের নেতারা ইভিএম নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করার পাপ করেছে, কিন্তু দেশের গণতন্ত্র ও বাবা সাহেব আম্বেদকরের সংবিধানের জোরে আজ সুপ্রিম কোর্ট তাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। ব্যালট বাক্স লুট করার তাঁদের ইচ্ছা সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট বলেছে, ব্যালট পেপারের পুরনো যুগ আর ফিরবে না। এখন যখন গোটা বিশ্ব ভারতের গণতন্ত্র, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রশংসা করছে, তখন এই লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে ইভিএমকে অপমান করছে। ইন্ডি জোট এবং তার সাংগঠনিক দলগুলি ক্রমাগত গণতন্ত্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই লোকদের এমন একটি চড় দিয়েছে যে তারা মুখ উঁচু করে ফিরে তাকাতে পারবে না। আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি শুভ ও বিজয়ের দিন। ইন্ডি জোটের প্রতিটি নেতার উচিত দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
শ্রী মোদী বলেন, এখন দেশে রাজনীতির দু’টি মুখ্য ধারা তৈরি হয়েছে। একটি ধারা বিজেপি এবং এনডিএ-র, যার উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে ক্ষমতায়ন করা এবং প্রতিটি সুবিধাভোগীর দোরগোড়ায় সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং বিপরীতে, অন্য ধারাটি কংগ্রেস এবং আরজেডির, যার উদ্দেশ্য হল মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিজের কোষাগার পূরণ করা। কংগ্রেস এবং আরজেডি একত্রে বিহারের মানুষকে উন্নয়নের জন্য আকুল করে রেখেছে এবং তাদের প্রতিটি পয়সার উপর নির্ভরশীল করে তোলে। লন্ঠনের যুগে অন্ধকার আর জঙ্গলের রাজত্ব ছিল। আগে সবাই এখান থেকে পলায়নের কথা ভাবতেন,কিন্তু জেডিইউ ও বিজেপির নেতৃত্বে বিহারকে লন্ঠনের সেই অন্ধকার থেকে বের করে আনা হয়েছে। বিজেপি ভারতকে ডাল এবং তৈলবীজে স্বনির্ভর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এর জন্য আগামী ৫ বছরে মিশন মোডে কাজ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে ডাল চাষে এ অঞ্চলের কৃষকদের ভূমিকা আরও বড় হতে চলেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত ১০ বছরে, ডিবিটি-র মাধ্যমে বিহারের জনগণের অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ সরাসরি পাঠানো হয়েছে। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী বা ঘুষ ছাড়াই আরারিয়া ও সুপলের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ১৬০০ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। আরারিয়া ও সুপল উভয় জেলাতেই দরিদ্ররা ৩ লক্ষ পাকা বাড়ি পেয়েছে। বোন এবং কন্যাদের জীবন সহজ করা এনডিএ-র অগ্রাধিকার। এনডিএ সরকার দেশের মহিলাদের কলের জল, টয়লেট, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা, বোন ও মেয়েদের চিকিৎসার জন্য সঞ্জীবনী প্রমাণিত হয়েছে। দেশের মা-বোনদের যদি বেদনা নিয়ে বাঁচতে হয়, তাহলে তাদের ভাই-ছেলে মোদীর দিল্লিতে বসে কী লাভ। গরিবের এই ছেলে দেশের প্রতিটি নারীকে মা-বোনের মতো মনে করেছে। দেশের সব মহিলার চিকিৎসা খরচের ব্যবস্থা করেছেন মোদী এবং শীঘ্রই বিজেপি সরকার দেশের ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রতিটি ব্যক্তির চিকিৎসারর জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে।
শ্রী মোদী বলেন যে কংগ্রেস এবং আরজেডি জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। দেশের দলিত, অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষ ও আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। বাবা সাহেব আম্বেদকর দেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে লিখেছিলেন যে ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ হবে না। কিন্তু কংগ্রেস গোটা দেশে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের জন্য জোর দিচ্ছে। কর্ণাটকের সংরক্ষণের মডেল সারা দেশে বাস্তবায়ন করতে চায় কংগ্রেস। কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ওবিসিদের থেকে ২৭% সংরক্ষণ নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে অন্য একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। কংগ্রেস রাতারাতি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করেছিল। কংগ্রেস ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং এরা সারা দেশে এটাই করতে চায়। আরজেডি এই খেলায় কংগ্রেসকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছে। কংগ্রেস ওবিসিদের থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে নিজেদের পছন্দের ভোটব্যাঙ্ককে দিতে চায়। কংগ্রেস শুধু ওবিসি নয়, এরপর এসসি ও এসটি-দেরও সংরক্ষণ ছিনিয়ে নেবে। কংগ্রেস এবং আরজেডি-র তোষণের রাজনীতিতে নিমজ্জিত। সংবিধানের মূল ভাবনা এবং বাবা সাহেব আম্বেদকরের কথাকে তারা গুরুত্ব দেয় না। ২০১১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভা ওবিসিদের থেকে সংরক্ষণ এর একটা অংশ নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে তাদের ভোটব্যাঙ্ককে সংরক্ষণ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে আদালত কংগ্রেসের এই ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ রুখে দিয়েছিল।সুপ্রিম কোর্টের বারণ সত্ত্বেও কংগ্রেস তার ইস্তেহারে তাদের ভোটব্যাঙ্ককে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলে। যতদিন মোদী থাকবেন ততদিন তারা এসসি, এসটি এবং ওবিসি-দের সংরক্ষণ কেড়ে নিতে পারবে না এবং ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দিতে পারবে না, এটাই মোদীর গ্যারান্টি। আজ বিহারে লড়াই হচ্ছে ইন্ডি জোটের তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে। ইন্ডি জোট তার পুরো শক্তি দিয়ে শুধু তোষণের রাজনীতি করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এলাকায় দেবী সীতার নিদর্শন রয়েছে। ৫০০ বছর পরে অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের একটি বিশাল মন্দির তৈরি হয়েছে, যার জন্য সমস্ত দেশবাসী গর্বিত। কিন্তু কংগ্রেস এবং আরজেডির নেতাদের এতটাই অহংকার যে তারা নিজেদের ভগবান শ্রীরামের থেকেও বড় মনে করে। কংগ্রেস ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিল। অথচ যারা রাম মন্দির হওয়ার বিপক্ষে মামলা করেছিল, সেই আনসারী পরিবারও কিন্তু শ্রীরাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল।
শ্রী মোদী বলেন যে আমি যখন কংগ্রেস পার্টির তোষণের রাজনীতির কথা জনগণের সামনে বলি, তখন কংগ্রেস রেগে যায়। কিন্তু আমি কংগ্রেসকে বলতে চাই যে বিগত ২৫ বছর ধরে আমি কংগ্রেসকে ভয় পাইনি এবং ভয় পাবও না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এমন কোনও বিবৃতি দেননি বলে দেশে মিথ্যাচার ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু আজ সকালে মনমোহন সিংয়ের আরেকটি পুরনো ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে তিনি বলছেন দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরে, কংগ্রেস এখন নীরব হয়ে গেছে। দেশের এটাও জানা উচিত যে ইন্ডি জোট ১০ বছর বছর ধরে কোন মানসিকতা নিয়ে সরকার চালিয়েছিল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার দরিদ্র, কৃষক ও নারীদের। মোদীর চিন্তাভাবনা হল একজন মানুষ তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন, তিনি যদি দরিদ্র হন, তাহলে সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার সেই দরিদ্রের। কংগ্রেস তার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য দেশের হিন্দুদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছিল, কিন্তু আজ তা প্রকাশ্যে এসেছে। কংগ্রেসের ইস্তেহারে মুসলিম লীগের ছাপ স্পষ্ট। এরা ক্ষমতার জন্য সংবিধানও পরিবর্তন করতে পারে। এনডিএ-র শ্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহারে সরকার চালাচ্ছেন এবং প্রতিটি জাতি, শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। বিজেপি এবং এনডিএ কখনও কারও কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়নি, তবে কংগ্রেস এবং আরজেডির মতো দলগুলি তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সংবিধানের মূল ভাবনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
শ্রী মোদী বলেন যে একটি দেশ যখন উন্নতি করে তখন সেই দেশের নাগরিকদের সম্পদ, উপার্জন এবং সুযোগও বৃদ্ধি পায়। ভারতের সম্পদও গত ১০ বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে এবং দেশের এই বর্ধিত সম্পদের উপর দেশের জনগণের অধিকার। কিন্তু কংগ্রেস ও আরজেডি বলছে, দেশের এই সম্পদের ওপর তাদের বিশেষ ভোটব্যাঙ্কেরই প্রথম অধিকার। কংগ্রেস বলেছে যে তারা আপনার সম্পত্তি, জমি এবং মহিলাদের গয়না কত আছে তার সমীক্ষা করবে। কিন্তু ইন্ডি জোটের নেতারা জানেন না যে, তারা মহিলাদের সম্পত্তি নিতে পারবে না। কংগ্রেস-আরজেডি-র ইন্ডি জোট জনগণের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দিকেও নজর দিচ্ছে। কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে তারা জনগণের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ৫০% এর বেশি দখল করে নেবে। বাকিটা সেই পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হবে। এনডিএ-কে আপনার একটি ভোটই ইন্ডি জোটের এই চিন্তাভাবনাকে রুখে দিতে পারে। আপনার একটি ভোটই তাদের রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আপনাদের আশীর্বাদে আমি তাদের এমন পরিকল্পনা সফল হতে দেব না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পূর্ণিয়ার ইথানল প্ল্যান্ট থেকে কৃষকরা অনেক সুবিধা পাচ্ছেন এবং এটা বিহারে নতুন বিনিয়োগ আনবে এবং সেই বিনিয়োগ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। তরুণদের জন্য সর্বাধিক সুযোগ তৈরি করা এনডিএর অগ্রাধিকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি জনগণের কাছে আবেদন করেন, ৭ মে প্রতিটি বুথে এনডিএ প্রার্থীদের প্রচুর ভোট দেওয়ার। এনডিএ প্রার্থীদের দেওয়া এই ভোট মোদীজিকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করবে।