BRAKING NEWS

তীব্র পানীয় জলের সংকট ডিমা হাসাও জেলা সদর হাফলঙে

হাফলং (অসম), ২২ এপ্রিল (হি.স.) : অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের জেলা সদর শহর হাফলঙে তীব্র পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনিতে সারা বছরই হাফলং শহরে পানীয় জলের সমস্যা লেগে থাকে। এর ওপর প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়ে যায় জলের তীব্র সঙ্কট।

এ মুহূর্তে হাফলং শহরে জলের জন্য হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাফলং শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত আড়াই থেকে তিন মাস ধরে জল সরবরাহ করেনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। শুকনোর মরশুম শুরু হওয়ায় পানীয় জলের উৎসস্থলগুলি শুকিয়ে যাওয়ায় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই হাফলঙের নাগরিকদের এখন কেনা বা বৃষ্টির জলের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টিও তেমন না হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে গেছে। তাই বৃহত্তর হাফলং এলাকার মানুষকে এখন কেনা জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। হাফলং শহরে বর্তমানে প্রতি আড়াই হাজার লিটার জল বিক্রি হচ্ছে ১২ শো থেকে ১৪ শো টাকায়।

উল্লেখ্য, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচনই হোক কিংবা বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিভিন্ন সভায় বলতে শোনা যায়, এবার নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথমেই হাফলং শহরের জলের সমস্যার নিরসন করা হবে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ওই সকল নেতা তাঁদের প্রদত্ত গালভরা প্রতিশ্রুতি পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন।

এবার উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছিলেন পরিষদের হাফলং থেকে বিজেপির প্রার্থী জয়ী হলে প্রথমে হাফলং শহরে জলের সমস্যার সমাধান করা হবে। অথচ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর জলের সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। কাগজে-কলমে হাফলং শহরের জলের সমস্যা মেটাতে সরকার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যা পরিষদের নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল ওই টাকায় জলের সমস্যা মেটাতে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

কিন্তু বাস্তবে এখন পর্যন্ত জলের সমস্যা মেটাতে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ বা রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে বৃহত্তর হাফলং শহরের সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ। এখন শহরে কান পাতলেই সাধারণ নাগরিকদের মুখে একটি কথা শোনা যায়, কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। আর কত জলের জন্য সমস্যা পোহাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *