নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল: কমিউনিস্টরা জনজাতিদের কিছুই দিতে পারেনি। কাজের বেলায় তারা অষ্টরম্ভা। দীর্ঘ কমিউনিস্ট শাসনে জনজাতিরা কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়নি।কমিউনিস্টরা জনজাতি অংশের মানুষকে ভোট বাক্সে পরিণত করেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের আছে বিজেপি আইপিএফটি সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। জনজাতিদের সুরক্ষার গ্যারান্টি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তিনি তা করেও দেখিয়েছেন। সোমবার খোয়াইয়ের রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভায় নির্বাচনী জনসমাবেশে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে খুন সন্ত্রাস সহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতো। কিন্তু বর্তমানে তারা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তারা বলছেন সময়ের জন্য তারা একে অপরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করছেন। তিনি আরো বলেন, কমিউনিস্টরা গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তাদের সময় নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস নির্বাচনের পরে সন্ত্রাস এবং নির্বাচন চলাকালীন সময় ও সন্ত্রাস চলতো। কিন্তু বর্তমানে শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যে নির্বাচন গুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোন ধরনের কোন সন্ত্রাসের খবর নেই। কমিউনিস্টদের বক্তব্য রাজ্যে জল নেই। কিন্তু কমিউনিস্ট আমলে জনজীবন মিশনের আওতায় মাত্র তিন শতাংশ ছিল কিন্তু বর্তমানে তা ৫৬ শতাংশ হয়েছে। তাই বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন করেছে। আগামী দিনেও আরো করবে। তাই এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহবান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তেলিয়ামুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে একে বিশাল রোডশো অনুষ্ঠিত হয়। হুটখোলা গাড়িতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রদের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এদিনের এই রোডশোতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
একদিন নির্বাচনী কার্যক্রমের মধ্যেই কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরীর বাসভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিধায়কের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।