BRAKING NEWS

নির্বাচনের কাজে গিয়ে অসুস্থ ভোট কর্মী, ক্ষোভ কমিশনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ এপ্রিল: নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের রিটার্নিং অফিসার এর জোর জবরদস্তি কারনে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মরত স্কুল শিক্ষক।

জানা গেছে সদর মহকুমার অন্তর্গত পশ্চিম জারুলবাছাই হাড়িয়াপাড়া জে বি স্কুলের শিক্ষক সুভাষ দাস বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে ডাক পড়ে অসুস্থ শিক্ষক সুভাষ দাসের। নির্বাচন কমিশনের সেই নোটিশ পেয়ে সুভাষ দাস পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার রিটার্নিং অফিসার এবং জিরানীয়ার এআরও- এর কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে যায়।

তিনি অসুস্থ যার ফলে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না কিন্তু সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ওনার এই অসুস্থতার আবেদন খারিজ করে দিয়ে এক প্রকার জোরপূর্বক অসুস্থ শিক্ষক সুভাষ দাস কে ১৮ এপ্রিল জিরানিয়া বীরেন্দ্রনগর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটগ্রহণের দায়িত্বে পাঠান। সেখানে গিয়ে সুভাষ দাস হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই যে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।

সেখান থেকে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের  কর্মীরা আহত অবস্থায় সুভাষ দাস কে জিরানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখান থেকে উনাকে জিবি হাসপাতালের রেফার করা হয়। পরে জিরানিয়া হাসপাতাল থেকে অসুস্থ সুভাষ দাসের পরিবারের লোকজনদের জানানো হয়। খবর পেয়ে সুভাষ দাসের পরিবারের লোকজন জিবি হাসপাতালে ছুটে আসেন।

রবিবার দুপুরে অসুস্থ সুভাষ দাসের স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিম জেলার রিটার্নিং অফিসার এর পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত জিবি হাসপাতালের সুভাষ দাসের কোন ধরনের খোঁজ খবর নেয়নি। এখনো পর্যন্ত তিনি জিবি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন  নির্বাচন কমিশনের কারণে আজ ওনার স্বামী হাসপাতালের বেডে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। তাই সুভাষ দাসের স্ত্রী নির্বাচন কমিশন সহ পশ্চিম জেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেহেতু তাদের কারণে ওনার স্বামী হাসপাতালে  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তাই নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিম জেলার রিটার্নিং অফিসারের তরফ থেকে ওনার অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় ভার যেন গ্রহণ করে। এখন দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশন এই ক্ষেত্রে কি ভূমিকা গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *