নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ২১ এপ্রিল: বিয়ের প্রলোভন দেখে এক মেয়েকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিলোনীয়া থেকে এক মেয়েকে এনে নড়সিংগড়ের এক বাড়িতে ৫ দিন আটকে রাখা হয়। এই ৫দিন মেয়েটিকে বেঁধে রেখে জোরপূর্বক ড্রাগসের নেশা করানো হত বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার নিন্দা জানান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, বিলোনিয়ার একটি মেয়ের সাথে সামাজিক মাধ্যম ফেইস বুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় আগরতলার আড়ালিয়ার সৌরভ চক্রবর্তী নামের এক যুবকের। গত ৫দিন আগে সৌরভ পূজা দাস নামের একটি মেয়েকে নিয়ে বিলোনিয়ায় যায়। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সৌরভ ও পূজা মিলে বিলোনিয়া থেকে অন্য আরেক মেয়েকে আগরতলায় আনে। আগরতলা থেকে ওই যুবতীকে নড়সিংগড়ের পূজার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এই সময়
তাকে কোন খাবার দাবার দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, যুবতীর শরীরে ড্রাগস ইনজেকড করা হয়। শনিবার রাতে কিছু যুবক মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রবিবার হাসপাতালে অসুস্হ মেয়েটি এই কথা জানায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালের জিবি হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন ঝর্ণা দেববর্মা। তিনি মেয়েটির সাথে কথা বলেন তার চিকিৎসা পরিষেবার খোঁজখবর নেন । পরে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তীব্র নিন্দা জানান। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন জানান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নরসিংগড় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।