BRAKING NEWS

“পরের বার এলে কাগজ নিয়ে আসবেন”, রায়গঞ্জে মোদীর উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা

উত্তর দিনাজপুর, ২০ এপ্রিল (হি.স.) : “হাতজোর করে বলছি, পরের বার এলে কাগজ নিয়ে আসবেন, যে গত তিন বছরে কত টাকা দিয়েছেন। ৩৬ দিন হয়ে গেছে, বিজেপির কোনও নেতা ১০ পয়সার হিসাব দিতে পারেননি।” শনিবার রায়গঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে এ কথা বলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বলেন, ‘‘আবাসের জন্য তিন বছর ধরে আবেদন করেছেন আপনারা। শিলিগুড়িতে মোদী বলেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন আবাসের জন্য। প্রধানমন্ত্রী কি কাগজ দেখাতে পেরেছেন, যে আপনাদের থেকে কাগজ চাইছেন? নিজে পারেননি। পারলে দেখান। তিনি শুধুই সাধারণ মানুষকে ভুলপথে চালনা করছেন।’

অভিষেক বলেন, ‘‘এনআরসি নিয়ে বিজেপি যখন ধমকাচ্ছিল, তখন এক মাত্র দিদি এসে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কোনও কংগ্রেস নেতা আসেননি। আপনারা ধমকানো বন্ধ করুন। বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ ভাববেন না। গুজরাত ভাববেন না। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ভাববেন না। ২০২১ সালেও একই ভুল করেছিলেন। আপনাদের একটা ভোটই কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে ফেলে নতুন সরকার বসাতে পারে। আপনার একটা ভোটে অনেক দাম। ’’

অভিষেকের কথায়, ‘‘পাঁচ বছরের গদ্দারির জবাব দিন। জনজোয়ার যাত্রার সময়ও উত্তর দিনাজপুরে তিন দিন ছিলাম। আপনারা যাঁদের বলেছিলেন, তাঁদের পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড় করিয়েছিলাম। তাঁরা জিতেছেন। এ বার তিন লক্ষ ভোটে কৃষ্ণ কল্যাণীকে জেতাতে হবে।’’

শুক্রবার হয়েছে প্রথম দফার লোকসভা ভোট। তাতে তৃণমূল প্রার্থীরাই জিতছেন, দাবি অভিষেকের। অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা থাকতে এনআরসি হবে না। আমরা ভাড়াটে। জনতাই মালিক। তেমন গোটা দেশেই মালিক জনতা। কিড়ায়েদার হ্যায়, য়াতি মকান থোরি হ্যায়, হিন্দুস্তান সভি কা, কিসি কে বাপ কা থোরি হ্যায়।’’

অভিষেক বলেন, ‘‘ ওঁরা যে ভাষা বোঝে, সেটাই বলুন। আপনারা দল ভাঙার রাজনীতি জানলে, তৃণমূলও জানে। কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছেড়ে আসার পরেই ওঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা। দু’দিন ধরে চলেছিল। তা-ও তিনি নত হননি। লড়াই করেছেন। যে নিজের ভালবাসা নিয়ে এঁদের সঙ্গে লড়াই করে, তাঁদের জনতার প্রতিনিধি হওয়া উচিত কি না, আপনারাই বলুন? যাঁদের ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গেছে, তাঁরা ঘরে বসে রয়েছেন। ২৬ তারিখ এঁদের জবাব দিন। বিজেপিকে শিক্ষা দিন।’’

অভিষেক বলেন, ‘‘ অন্য যে রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই, সেখানে কংগ্রেসের লোক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এখানে উল্টো গঙ্গা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বহু মানুষ।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *