নির্বাচনের  যাবতীয় বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ এপ্রিল:
বুধবার বিকেল পাঁচটায় শেষ হচ্ছে সরব প্রচার। এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচার শেষ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারকগণ যারা অন্যান্য বিধানসভা এলাকায় প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের বিকেল পাঁচটার মধ্যেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এদিন বিভিন্ন হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলিও  বিভিন্ন হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলিও পরীক্ষা করে দেখা হবে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন কিনা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।

এছাড়াও নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে শেষ ৪৮ ঘন্টায় যে ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নির্বাচন কেন্দ্র গুলির মোড়ে দেওয়া হয় সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন বিধানসভা এলাকাগুলিতে  কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপত্তা প্রদান, বিভিন্ন নাকাগুলিকে কঠিন নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথম দফার ভোটে মোট ১৬৮৬ পোলিং স্টেশনে ভোট কর্মীরা এবং নিরাপত্তা বাহিনীরা ১৮ তারিখে নিজ নিজ পোলিং স্টেশন গুলিতে পৌঁছাবেন।

এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় নাকা পয়েন্টগুলিতে চেকিং এর মাধ্যমে অবৈধ নিজস্ব সামগ্রীর সহ নেশা কারবারীদের গ্রেফতার করা অব্যাহত রয়েছে। কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ যেন সংঘটিত না হয় সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক। তথ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৬ মার্চ ২০২৪ এর পর থেকে ২৬ কোটি টাকার নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে প্রশাসন। যার মধ্যে ব্রাউন সুগার, গাঁজা এবং অবৈধ গাঁজা রয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত এখনো পর্যন্ত ৬২টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। আইন অনুযায়ী সেগুলির মধ্যে ৫৯টি অভিযোগই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন অধিকারীক। এছাড়াও নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় যারা নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করবেন তাদেরকে সাহায্য করার জন্য একজন করে স্থির করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় ফোন নাম্বার ওই এলাকায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে যে কোন ধরনের সমস্যায় সাধারণ মানুষ খুব তাড়াতাড়ি প্রশাসনের সাহায্য পাবেন। কোন ধরনের অভিযোগ আসার পরে সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে যাচাই করে আইনের উপায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক কথায় নির্ভয় পরিবেশে সাধারণ মানুষ যেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরো জানান, জনগণের যাবতীয় কথা চিন্তা করে ভোট কেন্দ্রগুলিতে শৌচালয়, পানীয় জল এবং ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ওয়েব ক্যাস্টিং এর ব্যবস্থা। এছাড়াও জরুরী কালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১২৮০০ এর কাছাকাছি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা কর্মীরা। অর্ধেক ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। বাকি যারা রয়েছেন তাদের আগামী কাল ভোট দান সম্পন্ন হবে বলে জানা হয়ে বাকি যারা রয়েছেন তাদের আগামী কাল ভোট দান সম্পন্ন হবে বলে জানা হয়ে জানানো হয়েছে।

এছাড়াও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার এবং ৮৫ বছরের উপর ভোটারদের জন্য বাড়ি বাড়ি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৪৪ জন। যাদের মধ্যে ৪৪৯৭ অর্থাৎ ৯৮% ভোটার ভোট দান করেছেন। এবং পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ভোটগ্রহণ ১৯ এপ্রিল সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই প্রত্যেকে যেন নির্ভয় ভাবে এই লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভোটদানে এগিয়ে আসেন তার আহ্বান জানান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *