আগরতলা, ১৫ এপ্রিল: ত্রিপুরায় সিপিএম বিষ ছড়াচ্ছে। জনজাতিদের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে। আজ কুমারঘাট পিডাব্লিউডি মাঠে নির্বাচনী জনসভায় সিপিমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জনজাতিদের আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরাবাসীকে কমিউনিস্টের শাসন থেকে মুক্ত করতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমারঘাট থেকেই বিজেপির জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল।দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ত্রিপুরা কমিউনিস্টের শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রথমে বিপ্লব কুমার দেব এবং এখন অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা উন্নয়নের নতুন দিশায় এগিয়ে চলেছে।
তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরায় জনজাতিদের মধ্যে বিভেদ তৈরী করাই ছিল কমিউনিস্টদের কাজ।নির্বাচনে জনজাতিদের ২০টি আসন নিয়ে বহুবছর ধরে ছিনিমিনি খেলেছে তাঁরা। কিন্তু বিনিময়ে জনজাতিদের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও কাজ করেনি কমিউনিস্টরা। বরং তাঁদের গরীব বানিয়ে রাখা হয়েছিল। অমিত শাহ সুর চড়িয়ে বলেন, কংগ্রেস এবং সিপিএমের শাসনকালে জনজাতিরা যোগ্য সন্মান পাননি।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের যোগ্য সন্মান দিয়েছেন। আজ ত্রিপুরার অনেক জনজাতি পদ্ম পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
এদিন শাহ বিদ্রুপ করে বলেন, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা কখনই জনজাতি সম্প্রদায়ের কাউকে শাসনের উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবারের মতো জনজাতি সম্প্রদায়ের একজনকে রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে জনজাতি সম্প্রদায়কে সম্মানিত করেছেন। এমনকি ত্রিপুরার মধ্যেও জনজাতি এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সাথে তিনি দাবি করেন, ২০১৪ সালের আগে জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের বাজেট ছিল ২৪,০০০ কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৫,০০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, পর্যটন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান বা পরিকাঠামো সব ক্ষেত্রেই ত্রিপুরার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সাথে তিনি যোগ করেন, মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরকে বরাবর ভুলে গিয়েছিল কমিউনিস্টরা।কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার তাঁর নামে আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরন করে মহারাজাকে যোগ্য সন্মান দিয়েছেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার এবং তিপরা মথার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে রাজ্যে বিরোধীরা নানা সমালোচনা করছেন।রাজ্যবাসীর কাছে তাঁরা মিথ্যা তথ্য তুলে ধারার চেষ্টা করছেন। তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যে বিষ ছড়াচ্ছে সিপিএম। তাতে কর্ণপাত করবেন না। জনজাতিদের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে দেওয়া ভোট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেই পৌঁছাবে।
এদিন শ্রী শাহ জোর গলায় বলেন , কমিউনিস্টরা দেশের যেখানেই শাসনভারের দায়িত্বে ছিল সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকার পৌঁছায়নি।বিগত দিনে যুব সম্প্রদায়ের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কাজ করেছে কমিউনিস্ট সরকার। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার যুব সম্প্রদায়ের হাতে ল্যাপটপ ধরিয়ে দিয়েছে। এখানেই রয়েছে কমিউনিস্ট এবং বিজেপি মধ্যে পার্থক্য।