BRAKING NEWS

দীর্ঘ ৩৫ বছর যারা খুন করেছে, তাদের হাতের রক্তের দাগও এখনো শুকায়নি, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। ভগবানের কাছে গিয়ে কি জবাব দেবেন? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ এপ্রিল: দীর্ঘ ৩৫ বছর যারা খুন করেছে, যাদের হাতের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। ভগবানের কাছে গিয়ে কি জবাব দেবেন? নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। বাম কংগ্রেস জোট বলতে তাদের নিজেদেরই লজ্জা হয়। সেজন্যই এর নতুন নামকরণ করেছেন ইন্ডি জোট। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শান্তিপাড়ায় আয়োজিত পূর্ব ত্রিপুরার লোকসভা আসনের মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এভাবেই বিরোধীদের আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের বুলি বলতে থাকেন তারা। গত ৩৫ বছরে রাজ্যে কোথায় গণতন্ত্র ছিল? জনগণ সেটা জানে। কমিউনিস্টদের কাছে আগে নিজে, তারপরে দল, তারপরে দেশ। এভাবেই তারা রাজনীতি করতো। কমিউনিস্টদের রাজনীতিকে স্টেলিনের নীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আগে দেশ। দেশের সেবায় মূল ধর্ম বিজেপির। তাই মানুষ জানে জনগণের জন্য একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন্তা করেন।

তিনি কমিউনিস্টদের আক্রমণ করে আরো বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন তারাই গণতন্ত্র মানেন না। যে সকল দেশের কমিউনিস্টরা রয়েছেন সেসব দেশেই গণতন্ত্র নেই। গনতন্ত্রের দোহাই দিতে দিতে নিজেদের সমাজবাদী বলতে বলতে সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে গেছে কমিউনিস্ট। তিনি বলেন, তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই একে অপরকে আঁকড়ে ধরে ইন্ডিজোটের তকমা দিয়ে বেঁচে থাকতে চাইছেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কমিউনিস্টরা বলতো মালিকপক্ষ টাকা বেশি খেয়েছে, শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের আখের বুঝে নিত। কিন্তু শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষকেই মরতে হতো। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি শাসনে দেশ আত্মনির্ভর হয়েছে। ত্রিপুরার মা বোনেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ২০১৭ সালে যেখানে মাত্র ৪ হাজার এসএইচজি গ্রুপ ছিল সেখানে বর্তমানে ৫৬ হাজার এসএইচজি গ্রুপ রয়েছে।

তিনি ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুত  শিক্ষকদের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, বাম আমলে অন্যায় ভাবে তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। আর এই চাকরিগুলির বিরুদ্ধে যারা প্রশ্ন তুলেছিলেন তারা এখন কংগ্রেসে। বাম কংগ্রেস এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অর্থাৎ যারা চাকরি দিয়েছে, আর যারা চাকরি খেয়েছে তারাই এখন একসাথে। এটাই তবে তাদের গণতন্ত্র। তিনি বলেন, তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদের এই শাস্তি দেবেন আপনারা। বিজেপির পক্ষে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট দান করে এদের উপযুক্ত জবাব দেবে গণদেবতারা, বললেন  মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *