নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১০ এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী দলে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বিগত আমলের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনরাও দল ত্যাগ করে বিজেপির পতাকা তলে সামিল হতে শুরু করেছেন। যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের লাল দুর্গ প্রাক্তন বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথের বাড়িতে পদ্মের হানা।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিরোধী কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট দল ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের আঁতাতকে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না তাই অতি ঘনিষ্ঠ বামফ্রন্টের সমর্থকরা পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে শাসক দল বিজেপির ছত্রছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করছে। ৫৭ যুবরাজ নগর কেন্দ্রটি কত বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের দখলে ছিল।
শাসক দল বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন দল বামফ্রন্টকে এই বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে ইন্ধন জুগিয়েছিল। পরবর্তী সময় আসনটি নিজেদের হাত থেকে হারানোর পর বিজেপি দলের মধ্যে যে কোন দল ছিল তা অনেকটা প্রশমিত হয়েছে বলা যায়। তাই লোকসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিরোধী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস জোটকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বামফ্রন্টের স্বর্গীয় রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের বাড়িতে এক বিজেপির উঠানসভা অনুষ্ঠিত হয়। রমেন্দ্র দেবনাথ এর ভাই অনিলনাথের বাড়িতে এই সভাটি মূলত সম্পন্ন হয়। এই সভায় সাত পরিবারের মোট ২৪ জন ভোটার তাদের দীর্ঘদিনের প্রিয় দল বামফ্রন্ট পরিত্যাগ করে বিজেপির ছত্রছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে।
এদিনের এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, এই এলাকার নির্বাচনী শাসক দলের পর্যবেক্ষক ডাক্তার তমজিত নাথ , যুবরাজ নগর মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক রণবীরনাথ এবং যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই এলাকাটি যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৯ নং বুথের অন্তর্গত। এই বুথ বামফ্রন্টের একটি শক্ত খাঁটি বলে পরিচিত ছিল। আজকের এই দলত্যাগের ফলে এই বুথের বামফ্রন্টের খাঁটি অনেকটা দুর্বল হয়ে গেল বলা যায়।

