হাফলং (অসম), ৮ এপ্রিল (হি.স.) : এবারের লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে ডিমা হাসাও জেলার মানুষের মধ্যে কোনও উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় পশ্চিম কারবি আংলং, কারবি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলাকে নিয়ে ডিফু সংসদীয় তফশিলি জনজাতি সংরক্ষিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটকে ঘিরে পাহাড়ি জেলার ভোটারদের মধ্যে কোনও উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না নেই।
লোকসভা নির্বাচনে ডিমা হাসাও জেলা থেকে কোনও প্রার্থী নেই। যার দরুন সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। ডিমা হাসাও জেলার গ্রামাঞ্চলের অনেকেই জানানে না, ডিফু লোকসভা আসনে বিজেপি বা কংগ্রেস বা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি থেকে কাকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন নিয়ে যখন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার অভিযান জোরদার করে তুলেছে, সে জায়গায় ব্যতিক্রম ডিমা হাসাও জেলা।
পাহাড়ি এই জেলায় এখন পর্যন্ত বিজেপি, কংগ্রেস সহ অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি। এমন-কি তিনটি পাহাড়ি জেলা মিলে একমাত্র ডিফু লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমরসিং টিসু বা কংগ্রেস প্রার্থী জয়রাম ইংলেং বা এপিএইচএলসির প্রার্থী জনইংতি কাথার জনগণের পাশে এসে ভোট চাইতেও দেখা যায়নি।
ডিমা হাসাওবাসীর অভিযোগ, প্রার্থী হয়েও যখন এই সকল নেতা জনগণের পাশে আসছেন না, নির্বাচনে জয়ী হলে ওই সকল নেতা কি সুখে-দুঃখে ডিমা হাসাও জেলার মানুষের পাশে থাকবেন? এ নিয়ে এখন থেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকে। কারণ গত পাঁচ বছর বিজেপি টিকিটে যিনি নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন, সেই হরেনসিং বে-কে বিগত পাঁচ বছর ডিমা হাসাও জেলায় কখনও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ নাগরিকরা।
শুধু হরেনসিং বে-ই নয়। তার আগেও অনেকেই ডিফু লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু কোনও নেতাই তা কংগ্রেস বা বিজেপির হোন না-কেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ডিমা হাসাও জেলায় তাঁরা পা মাড়ান না। এমন-কি সুখে-দুংখেও এঁদের কোনও দিনই জনগণের পাশে পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পাহাড়ি জেলার মানুষের।
তাই পাহাড়ে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। তবে ডিমা হাসাও জেলার মানুষ উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন।

