নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর,৬ এপ্রিল :বছরের পর বছর রাজনৈতিক পরিচয়কে সামনে রেখে একদিকে প্রলোভন আরেকদিকে সমানভাবে ভয়-ভীতি, এই দুইয়ের সংমিশ্রণে ধর্ষিতা এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলেন দুই সন্তানের মধ্যবয়স্কা জননী। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গুণধর সেই বাম যুবনেতা তাত্ত্বিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ধর্ষককে নিজেদের জালে তুলে নিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় কল্যানপুর থানা এলাকার গোপালনগর এর বাসিন্দা মৃত ফণীভূষণ দাসের তৃতীয় পুত্র পার্থ দাস কল্যাণপুর থানা এলাকার কোন একটা গ্রামে এক নিরীহ পরিবারের এই সর্বনাশ করেছে। জানা গেছে পারিবারিক পরিচয় এর ভিত্তিতে ধর্ষক পার্থ গৃহ-শিক্ষকতার আড়ালে গৃহ কর্ত্রীকে নিজের সূচতুর কামনার জালে তুলে ফেলে। একটা সময়ে ২০২৩এ সরকার পরিবর্তন হলে সংশ্লিষ্ট মহিলাকে সরকারি চাকরি প্রদান করা হবে এই দাবির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মহিলা বারবার বাম যুবনেতা পার্থকে এভাবে ওই মহিলার অসহায়ত্ব যাতে ব্যবহার না করে কাতর ভাবে আবেদন জানাতে থাকলেও কমিউনিস্ট মতাদর্শের পার্থ কর্ণপাত করেনি। জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং সেই শারীরিক সম্পর্কের মুহূর্তকে মোবাইলে বন্দী করে পার্থ বছরের পর বছর নিরীহ পরিবারের এই মহিলাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে আরো অনেক কুকর্মের নায়ক কল্যাণপুরের বাম যুবনেতা বিধানসভা নির্বাচনের পর কল্যাণপুর থেকে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু অভিযোগ আগরতলা থাকাকালীন সময়েও পার্থ তার কুকর্ম থেকে বেরিয়ে আসেনি, এর বদলে সে প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট মহিলাকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে এই ভয় দেখিয়ে দেখিয়ে কিছুদিন পরপর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করছিল।
অবশেষে সংশ্লিষ্ট মহিলা ওনার স্বামীকে সবকিছু খুলে বলে। আরো জানা গেছে পার্থ প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট মহিলাকে ফোন করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত উনার নিরীহ স্বামী এবং সন্তানকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে যদি না তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে।এই অবস্থায় নির্যাতনের শিকার মহিলার পাশে দাঁড়ায় উনার স্বামী।
সম্মিলিতভাবে থানায় মামলা দায়ের করা হলে কাল বিলম্ব না করে কল্যাণপুর থানার পুলিশ আগরতলার পশ্চিম থানার সাহায্যে ধর্ষক পার্থকে জালে তুলে নেয়। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানা সূত্রে জানা গেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৪১৭, ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় পার্থর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।