নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে ২০০কোটি টাকার নেশা সামগ্রী উদ্ধার আসাম পুলিশের হাতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ এপ্রিল: প্রতিবেশী রাজ্য আসামের শিলচরে প্রায় দু কোটি টাকার নেশা সামগ্রী উদ্ধার করেছে অসম পুলিশ। একটি বিলাসবহুল গাড়িও আটক করা হয়েছে। মাদক পাচার চক্রের এক ব্যক্তিকে জালে তুলেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গৃহীত হয়েছে। এই চক্রে জড়িত অন্যান্যদের আটক করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে  রেকর্ড করল আসামের কাছার জেলার পুলিশ। কাছার জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বৃহস্পতিবার রাতে ২১কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত হেরোইনের বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাসে এত বিশাল পরিমাণ ব্রাউন সুগার জাতীয় নেশা সামগ্রী ইতিপূর্বে কোনদিন আটক হয়নি বলে তথ্যবিজ্ঞ মহলের দাবি।

গোপন খব‌রের ভি‌ত্তি‌ত্বে এস‌পি কাছাড়ের নেতৃ‌ত্বে পু‌লি‌শের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বৃহস্পতিবার রাতে  সড়‌কে ওৎ‌পে‌তে ব‌সে এ সাফল্য পায়। আটককৃত হে‌রোই‌নের ওজন প্রায় একুশ কে‌জি। এই মাদক পাচার কা‌ন্ডে জ‌ড়িত থাকার অভিযোগে এক জন‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

এক আ‌ধিকা‌রিক জানান গোপন খবর ছিল পড়শী রাজ্য থে‌কে শিলচর হ‌য়ে বিপুল প‌রিমান ড্রাগস অন্য রাজ্যে পাচার হ‌বে। এমন খব‌রে গত কয়েকদিন ধ‌রে তৎপর হ‌য়ে উ‌ঠে পু‌লিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বিলাসবহুল একটি গাড়িতে বি‌ভিন্ন সাবা‌নের প্যাকেটে হেরোইনের স্পাউচ পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। শিলচ‌রে আসতেই গাড়িটি আটক করে পুলিশ । গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দু`শ দশ কো‌টি টাকার পিউর হে‌রোইন উদ্ধার হয়। পরে গাড়ি সহ মাদক সামগ্রী পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে । পুলিশ সুপার জানান উদ্ধার করা ব্রাউন সুগার গুলো পিউর ব্রাউন সুগার। এগুলির সাথে অন্যান্য কেমিক্যাল মিশিয়ে সম পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব। মাদকসহ ধৃত একজনকে শিলচর সদর থানায় আট‌ক রেখে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।

এই ঘটনায় পুলিশ এনডিপিএস আইনে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে এই মাদক পাচারে মিজোরাম এবং ত্রিপুরার বেশ কয়েকজন মাদক কারবারীর নাম সামনে উঠে আসতে পারে। উল্লেখ্য গন্ধহগন্ধহীন এসব নেশা সামগ্রির কবলে পড়ে রাজ্যের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এসব নেশা সামগ্রী আমদানি রুখতে প্রশাসনকে আরো কঠোর মনোভাব গ্রহণ করার দাবি উঠেছে। প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করলে যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও তারা মনে করেন।