নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ৫ এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস দল ছাড়লেন ২০০ পরিবার। কংগ্রেস দলে এবার রক্তক্ষরনের দুঃসংবাদটি এসেছে পূর্ব ত্রিপুরা সংসদীয় আসনের বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। প্রায় দুইশত পরিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক কান্তি লাল ধরের বাস ভবনে প্রথমে এলাকার কংগ্রেস নেতা কর্মীদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে রাজ্য রাজনীতির খুটি নাটি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত প্রায় প্রত্যেক নেতা কর্মী বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে হতাশা ব্যক্ত করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কান্তিলাল ধর, বিধাশ শর্মা, অনিমা নাথরা কংগ্রেস দল ছাড়ার প্রকাশ্য ঘোষনা করে। দলত্যাগীদের নেতা শেখর ধর বলেন যারা বিভিন্ন দল ঘুরে কংগ্রেস দলে এসেছেন। তারাই এখন মস্ত বড় নেতা। যারা দুর্দিনের কর্মী ছিল তারা আজ পেছনে চলে গিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। যারা ১৯৭৭সাল থেকে কংগ্রেসকে পেছন থেকে ছুরি মেরেছে তারাই এখন দলের মূল কান্ডারী। তারাই এখন কংগ্রেস দলকে একটি বাণিজিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করছে।
এই নেতৃত্ব দিয়ে কোনভাবেই রাজ্যে সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সিপিএম দলের দীর্ঘ দিনের অপশাসনের ফলেই বিজেপি নামক দলটি ক্ষমতায় এসেছে। আর কংগ্রেস সিপিএম দলের সাথে হাত করে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে কংগ্রেসের হাত প্রতীককেই বিলীন করে দিয়েছে। বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে কামান দাগানো হয় এদিন। যাদের নেতৃত্বে আজ দুইশত কংগ্রেস পরিবার দলছাড়ার ঘোষণা করেছে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়। নেতৃত্বদের মধ্যে রয়েছেন জিতেন্দ্র কুমার ধর, শিল্পী ভট্টাচাৰ্য, কৌশিক শর্মা,চিত্ত ঘোষ, লক্ষী কর্মকার, সুলতান আহমেদ, অনিতা গোস্বামী, অ র্পনা গোস্বামী, মনসদ আহমেদ, বিধান শর্মা সহ প্ৰমুখরা। তবে আজ দল ত্যাগ করলে ও নতুন কোন দলে যোগদান করবে কিনা সে বিষয়ে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি।